এ কথা একশো শতাংশ ঠিক যে আপনি কী পরবেন, সেটা এক এবং একমাত্র আপনিই ঠিক করবেন – এ বিষয়ে অন্য কারো কথা বলার কোনও এক্তিয়ারই নেই! মুড ভালো থাকলে সকালবেলা লাল, খারাপ থাকলে কালো – এতে কার কী বলার থাকতে পারে? কিন্তু এই সহজ হিসেবের পরেও কিছু বিষয় রয়ে যায় যা নিয়ে আলোচনার অবকাশ থাকে।
তার মধ্যে প্রথমেই আসবে স্বাচ্ছন্দ্য। আমাদের দেশে বছরের বেশিরভাগ সময়েই যাচ্ছেতাই গরম আর আর্দ্রতার জোড়া ফলা কার্যকর থাকে। তাই দিনের বেলা যদি ফুরফুরে, প্রাকৃতিক মেটিরিয়ালের এবং প্যাস্টেল শেডের পোশাক বেছে নেন, তা হলে ঘামের প্রবল প্রতাপ থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন – এটাই সুবিধের!
মনে রাখবেন, হালকা রং সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে। ফলে গরম কম লাগবে, ত্বকের ক্ষতিও হবে না। আর প্রাকৃতিক ফ্যাব্রিকের পোশাক রোমকূপ বন্ধ হতে দেয় না, ঘাম শুকিয়ে যায় তাড়াতাড়ি। ফলে শরীরে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না, দুর্গন্ধও হয় না। সুতি, লিনেন, জর্জেট, মলমল গরমে আরাম দিতে আদর্শ।
সঙ্গে হালকা কোনও সুগন্ধি মাখুন, পরিষ্কার অন্তর্বাস পরুন। অনেকে ভাবেন, গায়ে পাউডার ছড়িয়ে নিলে বুঝি বা ঘামের বাড়াবাড়ি এড়ানো যায়। কিন্তু সেটা একেবারেই ভুল ধারণা। যাঁরা প্রচুর ঘামেন, তাঁদের পাউডার গলে গিয়ে বিচ্ছিরি অবস্থা হয়। জামাকাপড়ে দাগও ধরে যায়।
রাতের বেলা পরুন গাঢ় রং। তার কারণ সূর্যের তাপ নেই, তা ছাড়া আলাদা করে নজর কাড়াও সম্ভব হয়। সিল্ক, কাতান, তসর, স্যাটিন, মোডালের মতো ফ্যাব্রিক পরতে পারেন – বিশেষ করে পুজোর পর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। রাতের দিকে তাপমাত্রাও আরামদায়ক থাকে, তাই মেকআপ করা যায়। ঘন কোনও সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন।
ভারতীয়দের ত্বকের রং এমন মোলায়েম, যে বেশিরভাগ শেডই আমাদের মানিয়ে যায়। দিনেরবেলা সাদা, অফ হোয়াইট, গোলাপি, হালকা নীল, হলুদ, সবুজ পরতে পারেন। বেছে নিতে পারেন নানা ধরনের প্রিন্ট। রাতের পোশাকের ক্ষেত্রে যে কোনও গাঢ় শেড তো বটেই, উজ্জ্বল জুয়েল টোনও বাছতে পারেন।
রাতের মেকআপের ক্ষেত্রে সাহসী হোন। ডিপ শেডের লিপস্টিক পরুন, ট্রাই করুন স্মোকি আই মেকআপ। আজকাল তো অনেকে চোখে সবুজ বা নীলের মতো শেড ব্যবহার করেও দারুণ মেকআপ করছেন!
ফোটো: ইনস্টাগ্রাম