সাড়ে পাঁচ হাতের এক ফালি লম্বা কাপড়, তাকে নিয়েই জড়িয়ে আছে কত না আবেগ! অনেকেই আছেন, যাঁরা গুছিয়ে শাড়ি পরতে পারেন না। হাঁটতে-চলতে অসুবিধে হয়, পরতে সময় লাগে বলে শাড়ি এড়িয়ে চলেন, এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়!
তাই বলে সুন্দর শাড়ি দেখলে দু’ দণ্ড দাঁড়িয়ে পড়েন না, এমন বাঙালি মহিলা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর! শাড়ি কেনার আকর্ষণ থেকে মুক্তি পাওয়াটাও খুব খুব কঠিন। আর শাড়িকে আজকাল নানাভাবে স্টাইল করেও পরছেন অনেকে। তাতে তার লুকটা বদলে যাচ্ছে, দেখতে লাগছে স্মার্ট এবং সাহসী ড্রেসের মতো।
শাড়িকে ভিন্নভাবে স্টাইল করতে গেলে কেবল একটি জিনিস লাগবে আপনার – আত্মবিশ্বাস। সেই অর্থে কোনও নিয়মের বিধিনিষেধ নেই, যেভাবে খুশি ড্রেপ করতে পারেন আপনার শাড়ি। নুসরতের মতো বেলুন স্লিভের ব্লাউজ পরতে পারেন। সায়ন্তিকার মতো লেদারের প্যান্ট, ট্যাঙ্ক টপ আর বুটের সঙ্গেও শাড়ির স্টাইলাইজড ড্রেপিং খুব ভালো মানাবে।
আর একটা সহজ উপায়ে আপনি শাড়ি পরেও পাঁচজনের চেয়ে একেবারে আলাদা হতে পারেন – সঙ্গে কনট্রাস্ট কালারের ব্লাউজ পরুন বা অ্যাকসেসরিজ নিন। তবে সেক্ষেত্রে কয়েকটা খুব সহজ নিয়ম মানতে হবে। হালকা আর গাঢ় রঙে ভালো কনট্রাস্ট হয়। যেমন ধরুন সাদা আর কালো হচ্ছে খুব ভালো কনট্রাস্ট। সেই নিয়ম মেনেই সাদা আর লালও দারুণ। তবে একটি শেডের লাইট আর ডার্ক টোন দিয়েও খুব ভালো বৈপরীত্য তৈরি করা সম্ভব – গাঢ় নীল আর হালকা নীল পাশাপাশি রেখে দেখতেই বুঝতে পারবেন!
একটি কালার ফ্যামিলির একাধিক শেডের মধ্যেও কনট্রাস্ট করানো সম্ভব। যেমন ধরুন, হলুদ আর কমলার বৈপরীত্য সুন্দর। আবার কালার হুইলের একেবারে বিপরীত দিকে থাকা রং, যেমন সবুজ আর বেগুনি বা নীল আর গোলাপির কনট্রাস্টও ভালো। কিছু শেড আছে, যেগুলি ‘শীতল’ তকমা পায় – তার মধ্যে পড়ে নীল, সবুজ। ‘ওয়ার্ম’ বা উষ্ণ হচ্ছে লাল-হলুদ-কমলা। নিউট্রাল হচ্ছে কালো, সাদা, গ্রে। এই দুই ধরনের রঙের মধ্যেও কনট্রাস্ট হতে পারে।
জানেন কি, বিভিন্ন ধরনের জ্যামিতিক নকশা দিয়েও কনট্রাস্ট করা যায়, আবার ছোট এবং বড়ো আকারের প্রিন্ট দিয়েও তা করা সম্ভব। যাঁরা প্রথমবার কনট্রাস্ট করে পোশাক পরছেন, তাঁরা রং দিয়েই এক্সপেরিমেন্ট শুরু করুন। তার পর না হয় অন্যগুলো ট্রাই করে দেখতে হবে।
ফোটো: ইনস্টাগ্রাম