কিছুদিন আগে পর্যন্ত ব্লাউজ ছিল শাড়ির দোসর, কিন্তু ইদানীং ক্ষেত্রবিশেষে তা শাড়ির চেয়েও বেশি গুরুত্ব পায়। সবচেয়ে বড়ো কথা হচ্ছে, আপনি টি-শার্ট বা টপকেও ব্লাউজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন!
একটু লম্বা ঝুলের ব্লাউজ পরা যায় আপনার স্কার্ট বা হাই ওয়েস্ট প্যান্টের সঙ্গে। নিত্যনতুন পোশাক না কিনে পুরোনো জামাকাপড় একটু এদিক-ওদিক করে রিসাইকেল করে নেওয়ার চেষ্টা করুন। তাতে স্টাইল হবে, পকেটও খুব হালকা হবে না।
যাঁরা নিয়মিত শাড়ি পরেন, তাঁদের সংগ্রহে অবশ্যই নানা ধরনের ব্লাউজ থাকা প্রয়োজন। শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং ব্লাউজ তো দেখতে ভালো লাগেই, নেহাত মন্দ লাগে না কনট্রাস্টও। তবে তার আগে আপনার কয়েকটি সহজ বিষয় জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজনীয়।
. আপনি যে ধরনের ব্লাউজই পরুন না কেন, তার ফিটিং যেন ভালো হয়। কোনও বিশেষ দোকান থেকে কেনা রেডিমেড ব্লাউজ কারও চমৎকার ফিট করতে পারে, কেউ কেউ আবার পছন্দের দরজিকে দিয়ে তা তৈরি করিয়ে নেন। ফিটিং ভালো না হলে কোনও স্টাইলের ব্লাউজই ক্যারি করতে পারবেন না।
. একইরকম গুরুত্বপূর্ণ সঠিক অন্তর্বাস। ব্রায়ের স্ট্র্যাপ বেরিয়ে থাকলে দেখতে খারাপ লাগে। ডিপ কাট ব্লাউজ পরার অভ্যেস আছে? তা হলে দরজিকে বলুন ব্লাউজে কাপ ফিট করে দিতে। তা হলে আর ব্রা উঁকি দেওয়ার ঝামেলা থাকবে না।
. সব মেয়ের সংগ্রহে শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং ছাড়াও এমন কয়েকটি নিউট্রাল ব্লাউজ রাখা উচিত যা মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে নানা ধরনের লুক তৈরি করা যায়। একটি খুব ভালো মানের ব্রোকেড ব্লাউজ থাকা জরুরি। আপনার কাঞ্জিভরম বা বেনারসির সঙ্গে তা স্বচ্ছন্দে পরতে পারবেন। সোনালি আর রুপোলি দুটি ব্রোকেড রাখতে পারলে তো কথাই নেই!
. ইক্কত, ব্যোমকাই, বাঁধনির ব্লাউজ থাকলে একরঙা শাড়ির সঙ্গে পরতে পারেন – খুব সুন্দর দেখায়। কাঁথা স্টিচের ব্লাউজও দারুণ অভিজাত। তবে কনট্রাস্ট করানোর আগে একটু চিন্তাভাবনা করে নেবেন।
. যদি সম্ভব হয়, তা হলে একটা ভালো ব্লাউজ কিনে রাখুন কোনও ভালো ডিজাইনারের কাছ থেকে। ব্লাউজটাকেই সাজের কেন্দ্রে রেখে খুব সিম্পল কোনও শাড়ি বেছে নিন, মানানসই গয়না পরুন – আপনার লুক সবার নজর কাড়বে।
. খুব ভালো মানের কাপড়ের লাল, মেরুন, কালো আর সাদা ব্লাউজ রাখা উচিত। তা নানা রঙের শাড়ির সঙ্গে পরতে পারবেন। চেষ্টা করুন একটু বেশি দাম দিয়ে ভালো হ্যান্ডলুমের কাপড় কিনে এই ব্লাউজগুলি বানিয়ে নেওয়ার, তাতে বেশিদিন টিকবে।