যদি ব্যবহার করার পরে আপনার কোনও অসুবিধে না হয়ে থাকে, তা হলে ঠিক আছে। তবে এক্সপায়ারি ডেট ওভার হয়ে যাওয়ার পর আপনাকে মেকআপ প্রডাক্টটি সম্বন্ধে একটু বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে।
যদি দেখেন যে তা থেকে বাজে গন্ধ বেরোচ্ছে, উপরে তেলের মতো একটা স্তর ভেসে উঠেছে, রং বদলে গিয়েছে, তা হলে কিন্তু প্রডাক্ট ফেলে দিতে হবে – প্রডাক্টের রাসায়নিক গঠনে পরিবর্তন এলে তবেই এইরকম চেঞ্জ দেখা যায়।
কোনও মেকআপ প্রডাক্ট ঠিক যেভাবে স্টোর করতে বলা হয়েছে, সেভাবেই করতে হবে। অতিরিক্ত গরম, আর্দ্রতা, সূর্যালোকের উপস্থিতি ইত্যাদি কারণে মেকআপ খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই বারবার কোনও ঠান্ডা, অন্ধকার জায়গায় সাজের উপকরণ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। ফ্রিজের ভিতরেও রাখতে পারেন – তবে ফ্রিজারে ভরে রাখবেন না যেন!
অনেকে ভাবেন, প্রডাক্টের গায়ে অরগ্যানিক বা ন্যাচরাল লেখা থাকলেই বুঝি সেটি ভালো হবে। আসলে কিন্তু তেমন কোনও বাঁধাধরা নিয়ম নেই। অনলাইনে কোনও প্রডাক্ট কেনার আগে তার রিভিউ পড়ে নিন অবশ্যই – বিশেষ করে প্রডাক্টটি যদি নতুন কোনও কোম্পানির তৈরি হয়।
প্রডাক্টের গায়ে হাইপোঅ্যালার্জেনিক লেখা থাকলেই যে তা মেখে আপনার অ্যালার্জি হবে না, তেমন কোনও নিয়ম নেই – যদি দেখেন কোনও প্রসাধন ব্যবহার করে ত্বকে জ্বালাভাব হচ্ছে বা র্যাশ বেরোচ্ছে, তা হলে সেটির ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর উপায় নেই। যাঁদের ত্বক সেনসিটিভ, তাঁরা কোনও প্রডাক্ট ব্যবহার করার আগে অবশ্যই কনুই আর কানের পিছনে লাগিয়ে প্যাচ টেস্ট করে নিন। সমস্যা হলে তা ব্যবহার করবেন না।
কখনও চলন্ত গাড়িতে বসে চোখে মেকআপ, বিশেষ করে মাস্কারা লাগাবেন না। সামান্য ঝাঁকুনি লাগলে চোখের ভিতরে ব্রাশের খোঁচা খেতে পারেন, তাতে বিরাট বিপদ হতে পারে। মাস্কারা জমে গেলে জল দিয়ে সেটাকে পাতলা করার চেষ্টাও করবেন না, জীবাণু জাঁকিয়ে বসবে প্রডাক্টে।
কোনও মেকআপ শেয়ার করবেন না – এটা অনেকটা অন্তর্বাসের মতো। একান্তভাবেই আপনার, পুরোনো হয়ে গেলে ফেলে দিতে হবে। কাউকে দেওয়া চলবে না।
মেকআপ বা যে কোনও সাজগোজের জিনিসে হাত দেওয়ার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নেবেন অতি অবশ্যই। কারণ আমাদের হাতে অনেক ময়লা থাকে।
ব্যবহার করার পর মেকআপের বোতল খুব ভালো করে বন্ধ করুন। না হলে বাইরের ধুলো-ময়লা ঢুকে পড়তে পারে।