গরমকাল বলে তো আর সারাদিন নিজেকে এয়ার কন্ডিশনারের ঘেরাটোপে বন্দি করে রাখতে পারবেন না – বাইরে বেরোতেই হবে। ক্ষেত্রবিশেষে সাজগোজ আছে, বিয়েবাড়ি বা ঘরোয়া পার্টিতে নেমন্তন্ন রক্ষা করতে যেতে হবে। তখন কী পরবেন?
আমরা ভারতীয়েরা একটা ব্যাপারে খুব ভাগ্যবান – আমাদের নিজস্ব এমন কিছু ফ্যাব্রিক আছে যা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে পারে। শাড়ি, কুর্তা বা শার্ট কেনার সময়ে সেগুলিকেই অগ্রাধিকার দিলে খুব আরামে থাকবেন।
সুতি
সুতির বুননটাই এমন যে তার মধ্যে দিয়ে স্বচ্ছন্দে হাওয়া চলাচল করতে পারে। ফলে ঘাম শুকিয়ে যায় তাড়াতাড়ি। ত্বকে কোনও সমস্যা দেখা দেয় না। গোটা গ্রীষ্মে সুতির কুর্তা, শার্ট, স্কার্ট, পালাজোর উপর ভরসা রাখতে পারেন। স্কিন ফিটিং নয়, বাছুন ঢিলেঢালা পোশাক।
খাদি
খাদির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তা হাতে বোনা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সুতির সুতো ব্যবহার করা হলেও উল বা সিল্কের সুতো দিয়েও বোনা হয়। খাদির রক্ষণাবেক্ষণ খুব সহজ, দেখতেও দারুণ ভালো হয়।
লিনেন
লিনেন একটি প্রাকৃতিক ফাইবার এবং তার মধ্যে দিয়ে হাওয়া চলাচল করতে পারে খুব স্বচ্ছন্দে। ফলে গরমকালে আপনি আরামে থাকবেন। আর লিনেনের শার্ট বা প্যান্ট দেখতেও খুব সুন্দর হয়। লিনেন আর সুতির ব্লেন্ড কিনলে দামেও কম পড়ে।
শিফন
সন্ধেবেলা কোনও নেমন্তন্ন বা পার্টিতে যাওয়ার জন্য শিফন হচ্ছে পারফেক্ট পছন্দ। শিফনের ড্রেস তো দেখতে দারুণ ভালো হয়ই, শাড়ি পরলেও খুব সুন্দর লাগবে।
জর্জেট
জর্জেটও খুব হালকা এবং আপনার শরীরকে তা ঘিরে থাকে পরম আদরে। হালকা প্যাস্টেল শেডের জর্জেট দিন বা রাতের যে কোনও অনুষ্ঠানের জন্য আদর্শ।
মলমল
মলমল তৈরি হয় সুতি থেকেই, অতি উচ্চমানের মলমলকেই মসলিন বলা যেতে পারে। একেবারে হালকা, খানিক সি-থ্রু এই ফ্যাব্রিক পরে দারুণ আরাম। জানেন তো, বহু বছর আগে বাঙালি কারিগররাই প্রথম বানিয়েছিলেন এই কাপড়? বিদেশে তার খুব কদরও হয়েছিল!
সিল্ক
খুব হালকা সিল্ক পরতে পারেন, তবে ভারী সিল্ক, তসর, মটকা ইত্যাদি গরমকালের জন্য খুব একটা আরামদায়ক নয়।
যা পরবেন না
ডেনিম আর নাইলনের পোশাক গরমকালে না পরতে হলেই ভালো। ডেনিম শরীরের সঙ্গে আঁট হয়ে থাকে, আর নাইলন সাধারণত জল-রোধী হয়। তাই বেশিক্ষণ যদি আপনি এই ফ্যাব্রিকের পোশাক পরে থাকেন ও ঘামেন, তা হলে চর্মরোগ হতে পারে।