একটা কথা একেবারে গোড়াতেই পরিষ্কার করে নেওয়া ভালো – সব ধরনের প্রিন্ট সবাইকে মানায় না। শাড়িই হোক বা স্কার্ট, নিজের বডি টাইপের কথা মাথায় রেখে তবেই পোশাকের প্রিন্ট বাছাই করা উচিত — না হলে হয় তার আড়ালে আপনার ব্যক্তিত্ব চাপা পড়ে যাবে, নতুবা প্রিন্টটি চোখেই পড়বে না।
প্রিন্ট যে কেবল দেখতেই সুন্দর লাগে তা নয়, তার মূল কাজ হচ্ছে চেহারার খুঁতগুলিকে ঢেকে ব্যালান্স নিয়ে আসা। তাই কোনও কিছু স্রেফ চোখে ভালো লাগলেই কিনে ফেলবেন না হুট করে, আগে ট্রাই করুন, দেখুন ভালো লাগছে কিনা। তার পর কিনুন।
লক্ষ করে দেখবেন, যাঁরা ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান ঘন ঘন, তাঁদের অনেকেরই কালো রঙের প্রতি পক্ষপাত থাকে। কারণ কালো পরলে ঢেকে ফেলা যায় বাড়তি মেদ। ঠিক তেমনভাবেই সঠিক প্রিন্ট আপনার চেহারার ভলিউম বাড়িয়ে বা কমিয়ে দেখাতে পারে।
বলা হয় যাঁদের উচ্চতা কম, তাঁদের খুব গাঢ় শেডের বড়ো ছাপের ফ্যাব্রিক থেকে দূরে থাকা উচিত, কারণ তা মানায় লম্বা আর ছিপছিপে চেহারার অধিকারীদের।
বেঁটে এবং একটু ভারী গড়নের হলে আপনি বেছে নিন ছোট বা মাঝারি প্রিন্টের পোশাক। ছোট পোলকা ডট বা পাতলা স্ট্রাইপও দেখতে ভালো লাগে। স্ট্রাইপ পরতে চাইলে বেছে নিন ভার্টিকাল স্ট্রাইপ।
তার মানে কিন্তু এই নয় যে যাঁরা ছোটখাটো, তাঁরা উজ্জ্বল বা গাঢ় রঙের প্রিন্ট একেবারেই পরবেন না। বেছে নিন প্রিন্টেড টপ বা কুর্তা, সঙ্গে একরঙা এ-লাইন স্কার্ট বা ফ্লেয়ারড প্যান্ট পরতে পারেন — সুন্দর ব্যালান্স বজায় থাকবে। আর হিল পরবেন অবশ্যই।
যাঁদের শরীরের উপরের দিকটা ভারী, তাঁরা প্রিন্টেড স্কার্ট বা প্যান্ট পরুন। সলিড কালারের টপ বা শার্টের সঙ্গে তা দেখতে ভালো লাগবে।
বোল্ড প্রিন্টের ড্রেস বা জাম্পস্যুট স্বচ্ছন্দে পরতে পারেন লম্বা একহারা চেহারা হলে, তার বাহার খুলবে। ইন ফ্যাক্ট, লম্বা ছিপছিপে চেহারা যে কোনও ধরনের প্রিন্ট ক্যারি করার জন্য আদর্শ। আপনি দু’ধরনের প্রিন্ট একসঙ্গেও পরতে পারেন – যেমন ধরুন, পোলকা ডটেড টপের সঙ্গে পাতলা ভার্টিকাল স্ট্রাইপের টপ পরলেন – দেখতে দারুণ লাগবে!
অ্যানিমাল প্রিন্ট পছন্দ করেন? প্রিন্টেড লেগিংস বা জেগিংসের সঙ্গে নিউট্রাল শেডের টপ পরতে পারেন, চমৎকার দেখায় অ্যানিমাল প্রিন্টের স্টিলেটোও!
ফোটো সৌজন্য: ইনস্টাগ্রাম