কোভিড ১৯ নামক অসুখটি আমাদের নতুন করে অনেক কিছু শেখাল। বাড়ির বাইরে বেরনোর প্রয়োজন ক্রমশ কমে যাচ্ছে, অসুখ চলে গেলেও বহু কর্মী বাড়ি থেকেই কাজ করবেন ভবিষ্যতে। তাই পোশাকের পছন্দের ক্ষেত্রেও আসছে পরিবর্তন।
অফিসে গিয়ে যদি কাজ করার চাপ না থাকে, তা হলে ফরমাল ওয়্যার পরার প্রয়োজনটাও থাকে না। ভিডিও কনফারেন্স হলে ফরমাল শার্টটুকু পরলেই কাজ মিটে যায় – নিচে পছন্দের পাজামা পরে নিলেই দিব্যি হয়ে যাচ্ছে!
আর এখানেই এসেছে পরিবর্তনটা। পার্টির পোশাক, খুব গ্ল্যামারাস ড্রেসের বিক্রিবাটা বন্ধ। একেবারে ট্রাডিশনাল জামাকাপড় পরেই বা কোথায় যাওয়ার আছে? সারাক্ষণ বাড়িতে আরামে থাকা ও কাজ করার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে লাউঞ্জওয়্যার।
এবার প্রশ্ন, কাকে বলে লাউঞ্জওয়্যার? তা কি রাতপোশাকের সমগোত্রীয়? উত্তর হচ্ছে, না, রাতপোশাক আর লাউঞ্জওয়্যার মোটেই এক নয়। বাড়িতে যা পরে আরামে হাত-পা ছড়িয়ে থাকা যায়, অর্থাৎ পাজামা, সোয়েটপ্যান্ট, সোয়েটশার্ট, ঢিলেঢালা টিশার্ট ইত্যাদি হচ্ছে লাউঞ্জওয়্যার।
এই দলে কিন্তু নাইটি বা ওই ধরনের পোশাক পড়ে না। তাই টি শার্ট আর পাজামা পরে কাজ করতে পারেন। চলবে আপনার পছন্দের কুর্তা-পাজামা বা কাফতানও। কিন্তু রাতে ঘু্মোতে যান যে পোশাক পরে, তা চলবে না।
সারা পৃথিবীতেই অজস্র ডিজাইনার লাউঞ্জওয়্যার নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। নানা দামের লাউঞ্জওয়্যার পাওয়া যায় কিনতে। স্যাটিন, সিল্ক বা সুতির মতো মেটিরিয়ালের লাউঞ্জওয়্যার খুব আরামদায়ক।
কেবল অফিস নয়, বাড়িতে আসা অতিথি আপ্যায়ন এবং সেই সঙ্গে রান্নাঘরের কাজকর্ম সামলানোর জন্যেও হাঁটুঝুল কেপরি বা লং স্কার্টগোছের পোশাক পরতে পারেন। পাজামা আর আরামদায়ক টি-শার্ট পরে তো বন্ধুবান্ধব্দের আড্ডাতেও দিব্যি চলে যাওয়া সম্ভব।
বাড়িতেই যেহেতু আজকাল আমরা দিনের বেশিরভাগ সময়টা থাকি, তাই সেখানে কী পরছেন তা ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একগাদা টাকা খরচ করে এখনই প্রচুর জামাকাপড় কিনে ফেলার মানেই হয় না! হাতের কাছে যা আছে, তাই দিয়ে চালান।
ঘর থেকে বেরোতে হচ্ছে না মানেই কিন্তু দিনের বেশিরভাগ সময়ে খুব পুরোনো ছেঁড়াখোঁড়া পোশাক পরে থাকবেন না! সুন্দর সেজে থাকুন, স্নানের পর অল্প একটু এসেনশিয়াল অয়েলের ছোঁয়া দিন শরীরের পালস পয়েন্টে। দেখবেন, নিজেকে নিজের ভালো লাগবে!