ঠান্ডা থেকে নিজেকে বাঁচাতে হবে, আর এমন পোশাক পরতে হবে যা বেশ আরামদায়ক। তা হলেই অসুস্থ হয়ে পড়ার ভয় নেই একদিকে, আর অন্যদিকে আপনার ফ্যাশন কোশেন্টও বজায় থাকবে। জানতে চান তা কীভাবে সম্ভব?
প্রথমে আপনাকে বাছতে হবে সঠিক ফ্যাব্রিক। সারা বছর তো সুতি আর মলমল পরে কাটিয়ে দেন – এবার বেছে নিন তসর, সিল্ক, মটকা, গরদের মতো ফ্যাব্রিক। হালকা শীতে এগুলি খুব আরামদায়ক। সঙ্গে নিতে পারেন সিল্ক বা কাঁথার স্কার্ফ। কারুকাজ করা দোপাট্টা নিলেও খুব সুন্দর দেখায়। পরতে পারেন শাড়িও।
তার চেয়ে ভারী শীত ঠেকানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে লেয়ার করে পোশাক পরা। মানে একটা জ্যাকেট বা সোয়েটারে ভরসা রাখার দরকার নেই, স্তরে স্তরে গায়ে চাপান। খুব বেশি ঠান্ডা লাগলে অন্তর্বাসের উপর পরুন ফ্যাশনেবল থারমালওয়্যার। সুবিধে হচ্ছে, হালফ্যাশনের থারমালওয়্যার বেশ আরামদায়ক এবং মোটেই ভারী নয়।
তার উপর আপনার রোজের টপ বা ব্লাউজ় পরে নিন। উপরে পরুন জ্যাকেট। সঙ্গে স্কার্ফ রাখুন অবশ্যই। বেশি ঠান্ডা লাগলে বা হাওয়ার মুখোমুখি দাঁড়াতে হলে স্কার্ফটা জড়িয়ে নেবেন গলায়। পশমিনা স্কার্ফের দাম বেশি হলেও আসল পশমিনা অত্যন্ত আরামদায়ক এবং উষ্ণ। যাঁদের পশমিনা নেই, তাঁরা তসর বা সিল্কের স্কার্ফ নিন। গরম চাদরও ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু!
স্কার্ফ আর হালকা জ্যাকেট আপনার পরম বন্ধু – তাই এর কোনওটি ছাড়াই বাইরে বেরোবেন না। সুতির ডাবল লেয়ারযুক্ত জ্যাকেট হাতের কাছে রাখতে পারেন। আমাদের এখানকার যা আবহাওয়া, তাতে এতেই কাজ হয়ে যাওয়ার কথা।
বেশি শীতের দিনে আপনার পরম বন্ধু হয়ে উঠতে পারে ভালো উলের টুপি আর মোজা। এমন টুপি পরুন যা কান ঢেকে রাখে। মোজার সঙ্গে পরুন পা ঢাকা জুতো। যখনই মনে হবে যে বেশি গরম লাগছে এবং মুখ-চোখ ক্রমশ লাল হয়ে যাচ্ছে, তখনই বুঝতে হবে যে রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে টুপিটা খুলে রাখতে পারেন।
হুট করে সমস্ত গরম পোশাক খুলে ফেলাটা যেমন কাজের কথা নয়, তেমনই আবার গরম লাগলে বা ঘাম হলেও সব চাপিয়ে রাখবেন না। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যবস্থাটাও আপনাকেই করতে হবে। তা না হলে কিন্তু সর্দি-গর্মি লেগে যেতে পারে, তাই সাবধান! বিশেষ করে নজর রাখুন বাচ্চাদের দিকে। তাদের অনেক সময়েই খুব গরম লাগে, শীতের পোশাকের নিচে ঘাম জমলেও কিন্তু সর্দি-কাশি হবে।
ফোটো: ইনস্টাগ্রাম