ইদানীং শাড়ির সঙ্গে স্নিকার্স পরলেও কেউ ভুরু তোলেন না, চিত্রতারকা থেকে আরম্ভ করে স্পোর্টস পারসোনালিটি — সবার মনের মতো জুতো হচ্ছে স্নিকার্স।
শর্ট স্কার্ট, খাটো ড্রেস, ঢিলেঢালা কাফতান সবের সঙ্গেই স্বচ্ছন্দে এটি পরা যায় – একই কথা খাটে কেডসের ক্ষেত্রেও! নারী-পুরুষ সকলেই আপাতত এর মায়ায় মজে।
আজকাল গাড়ি চড়ার চেয়ে হেঁটে যাতায়াত করাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন অনেকেই। তাঁদের জন্য স্নিকার্স বেস্ট! তা পায়ের পাতায় পুরো সাপোর্ট জোগায়। বেশিরভাগ স্নিকার্সেই রবারের সোল থাকে।
আমরা যখন হাঁটা-চলা করি, দৌড়োই, তখন পা আর জুতোর মধ্যে যে ঘর্ষণ হয়, তার ইমপ্যাক্ট কমিয়ে দেয় স্নিকার্সের নরম সোল। আপনার পা পুরোপুরি আপনারই নিয়ন্ত্রণে থাকে, ফলে গোড়ালি বা পায়ের পাতায় কোনওরকম আঘাত লাগার আশঙ্কাই থাকে না! নরম ইনসোল থাকলে তা পায়ের বাড়তি সুরক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে।
স্নিকার্স খুব আরামদায়ক। মনে রাখবেন, এই ধরনের জুতো তৈরিই হয়েছিল প্রফেশনাল অ্যাথলিটদের কথা মাথায় রেখে। তাঁরা যাতে খেলার সময় বিন্দুমাত্র অস্বাচ্ছন্দ্যের মুখোমুখি না হন, তা নিশ্চিত করাই ছিল নির্মাতাদের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য।
তাই নেহাত ভুল সাইজ়ের স্নিকার্স না কিনলে হাঁটাচলা করতে কোনওরকম অসুবিধে হওয়ার কথা নয়! কিছুক্ষণের জন্যও হাই-হিল পরলে আপনার পায়ের কষ্ট হবে, স্নিকার্সে কিন্তু সে সব সমস্যা নেই!
নানা ধরনের কাজ করা যায় স্নিকার্স পরে। ইদানীং তার ডিজ়াইন নিয়েও নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। তাই নিওন কালার থেকে আরম্ভ করে ব্লক হিল – সব স্টাইলের জুতো মেলে। মেটালিক স্নিকার্সও দুর্দান্ত ভালো দেখতে লাগে!
আপনি তো বটেই, আপনার পরিবারের বয়স্ক ও বাচ্চারাও স্বচ্ছন্দে এই ধরনের জুতো পরতে পারবেন। বয়স্কদের পায়ে ও হাঁটুতে যদি ব্যথার সমস্যা থাকে, তা হলে স্নিকার্স পরে হাঁটাচলায় বিলক্ষণ আরাম মিলবে। সারা দিন পরে থাকলেও কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়।
স্নিকার্স কিন্তু নিয়ম করে বদলানো উচিত। যাঁরা সর্বক্ষণ স্নিকার্সের উপর ভরসা রাখেন, তাঁরা জুতোর সোলটা ঠিক আছে কিনা, সেটা দেখে নেবেন বারবার।
স্নিকার্সের সোল ক্ষইতে আরম্ভ করলে কিন্তু ব্যালান্স পাবেন না পায়ে, ভেজা ফ্লোরে স্কিডও করতে পারে পা। যাঁরা খেলাধুলো করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আট মাস থেকে বছরখানেক একটি জুতো চলার কথা। রোজ পরে হাঁটলে বড়োজোর দেড় বছর তা চলতে পারে।