হ্যাঁ, এ কথা মেনে নেওয়াই ভালো যে হিল পরে হাঁটতে অসুবিধে হয়। একদল অমনি হাঁইমাই করে চিল চিৎকার ছাড়বেন – অত ঝামেলা করে হিল পরার দরকার কি বাপু? ফ্ল্যাট চটি বা স্নিকার্স কী দোষ করল? ঠিক বলেছেন – মোটেই কোনও দোষ করেনি। মেয়েরা সেগুলি পরতেও খুব ভালোইবাসেন – কিন্তু তাও হিলের মায়া কাটানো মুশকিল!
কারণ হাই হিল কষ্টকর হলেও তার মধ্যে একটা ব্যাপার আছে – এক তো হাইট খানিকটা বেড়ে যায়, ফলে চেহারার মধ্যে একটা হিলহিলে ভাব আসে। লম্বা গড়নে শাড়ি, স্কার্ট, জিনস, ড্রেস সব কিছুই দেখতে ভালো লাগে। তাই সব সময়ে না পরলেও, কিছু কিছু ক্ষেত্রে হিলে পা না গলিয়ে উপায় থাকে না।
পাশাপাশি আবার হিলের সমস্যাও আছে – যাঁরা পরতে অভ্যস্ত নন, তাঁদের পায়ে ফোসকা পড়ে যায় সারাদিন হিল পরে থাকলে। ব্যথাও হতে পারে। এই সমস্যাগুলো কাটাবেন কীভাবে?
. প্রথমে সঠিক হিল বাছাইয়ের উপর জোর দিন। আপনার বান্ধবী বা পছন্দের কোনও চিত্রতারকাকে পরতে দেখেই আপনিও বিশেষ কোনও পাদুকা কিনে ফেলবেন না। জুতো পরে, হেঁটে দেখে তবেই কিনুন। অনলাইন নয়, হিল কেনার সময় ভরসা রাখুন অফলাইন শপিংয়ে।
. স্টিলেটো কিনবেন না শুরুতেই, ওয়েজ, প্ল্যাটফর্ম বা কিটেন হিল কিনুন। এগুলি পরে স্বচ্ছন্দ হয়ে এলে তবেই স্টিলেটো কিনতে পারেন। ভালো ব্র্যান্ডের আরামদায়ক জুতো কিনুন। জুতোর ফিটিং ঠিক না হলে হাঁটতে অসুবিধে হবে।
. হিল পরে হাঁটা শিখতে ক’দিন সময় লাগবে, বিশেষ করে যদি আপনি ফ্ল্যাট বা স্নিকার্সে অভ্যস্ত হন। বাড়িতে কার্পেট বা ম্যাট্রেসে হেঁটে দেখুন। মার্বেল টাইলস লাগানো মেঝেতে কিন্তু হাঁটতে অসুবিধে হবে।
. হিল পরে হাঁটার একটা কায়দা আছে – আপনাকে আগে গোড়ালি মাটিতে ফেলতে হবে, তার পর পায়ের আঙুলের দিক। কয়েকবার হেঁটে রপ্ত করুন কায়দাটা – এটা দেখতেও ভালো লাগে।
. হিল পরে খুব হনহন করে হাঁটা যাবে না, ছোটো ছোটো স্টেপ ফেলে ধীরে ধীরে হাঁটুন। এলোমেলো পা ফেললেও গোড়ালি মচকে যাবে – মনে ভাবুন যে আপনি স্ট্রেট লাইনে হাঁটছেন। দরকারে ইউটিউব দেখে মডেলদের মতো হাঁটা প্র্যাকটিস করুন।
. হিল পরে আরামে হাঁটতে চাইলে আপনি ফুট কুশন বা স্লিপ প্রিভেনটিভ প্যাড কিনতে পারেন – আজকাল এগুলি অনলাইনে কিনতে পাওয়া যায়।
. রীতিমতো স্বাচ্ছদ্য না এলে কিন্তু হিল পিরে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করবেন না – সেটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।