আপনার স্টকে ক’জোড়া জুতো আছে বলুন তো? যদি উত্তরটা এক বা দুই হয়, তা হলে আপনি আমাদের চিন্তার কারণটা বুঝতে পারবেন না। কিন্তু যাঁরা নিত্যনতুন জুতো কিনতে ও পরতে ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য আমরা খুব কাজের কয়েকটি টিপস হাজির করেছি।
কোভিডের কারণে সাজগোজ লাটে উঠেছে, ফ্যাশনেবল জুতোও খুব বেশিবার পরা হয় না, তাই তার স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে বিলক্ষণ। এই পরিস্থিতিতে জুতোর স্বাস্থ্যরক্ষা বিষয়ে য়ামাদের কিছহু বক্তব্য আছে।
যে সব জুতোর প্রতি আপনার বিশেষ দুর্বলতা আছে, সেগুলিকে আলাদা কোনও বাক্সে বা নরম কাপড়ের থলেতে ভরে রাখুন। পুরোনো টি-শার্ট থেকে আপনি নিজেই এই ধরনের ব্যাগ বানিয়ে নিতে পারেন। পা ঢাকা জুতোর শেপ ঠিক রাখার জন্য ভিতরে টিস্যু বা কাগজ ঢুকিয়ে রাখুন।
প্রতিটি জুতো এমনভাবে রাখুন যাতে তা শ্বাস নিতে পারে। জুতোর র্যাকে একটির উপর আর একটি চাপিয়ে রাখলে তা কোনওদিনই সম্ভব হবে না। উলটে উপরে রাখা জুতোর চাপে ধীরে ধীরে আপনার প্রিয় জোড়াটির আকার নষ্ট হয়ে যাবে। বাড়ি ফেরার পর প্রতিটি জুতো পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত। মান্য সাবানজলে ভেজানো ন্যাকড়া দিয়ে সব ময়লা পরিষ্কার করে নিন প্রথমে। অবশ্য সব জুতোয় জল দেওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে ব্রাশ দিয়ে ধুলো-ময়লা ঝেড়ে নিন ভালো করে।
জানেন কি, জুতোরও নিয়মিত কন্ডিশনিং প্রয়োজন? তাই না পরলেও চামড়ার জুতো বের করে পালিশ করুন। ফোম বা সুয়েডের মতো মেটিরিয়ালের যত্নআত্তির জন্য যে সব উপকরণ প্রয়োজন, তা-ও আছে নিশ্চয়ই আপনার সংগ্রহে? সে সব নিয়ে কাজে লেগে পড়ুন। ফোম বা সুয়েড পরিষ্কারের জন্য সাহায্য নিন পুরোনো টুথব্রাশ আর সাবান জলের। তবে পুরো শুকিয়ে না গেনে কন্ডিশনার লাগাবেন না। কন্ডিশনার লাগানোর পরেও সারা রাত বাইরে রাখুন শুকনো করার জন্য।
স্নিকার্স পরিষ্কার করার জন্য আপনাকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে। পুরো স্নিকার্স জলে ভেজাবেন না। টুথব্রাশের হালকা স্ট্রোকে সব ময়লা ঝেড়ে ফেলুন। নাছোড় ময়লা তুলতে সাহায্য নিন সাবান জলের। কিন্তু শুকনো করার জন্য রোদ লাগাবেন না। পুরোনো খবরের কাগজ জুতোর ভিতর ঢুকিয়ে সারা রাত রেখে দিন পাখার নিচে। সুন্দর শুকিয়ে যাবে। স্নিকার্সের ফিতে কেচে নিন সাবানগোলা জলে, তার পর রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।