আগের চেয়ে এখন ফোন অনেক উন্নত হয়েছে, সেই সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে তার গুরুত্ব। এখন বই পড়তেও ভরসা ফোন, গান শুনতে, সিনেমা দেখতে, লেখালেখি করতেও। সেই সঙ্গে মিটিং-প্ল্যানিংও ফোনেই সেরে ফেলা যায়।
তার ফলে ফোনের ব্যাটারি খরচ হয় বেশি, আর কে না জানে – ব্যাটারি দুর্বল হওয়া মানেই ফোনের দফারফা। তবে সেই সঙ্গে এটাও ঠিক যে জেনে বা না জেনে আমরা এমন কিছু ভুল করে ফেলি যাতে ব্যাটারির প্রাণশক্তি কমে যায়। আপনিও কি তা করছেন?
১. খুঁজে বের করুন আপনার ফোনের ব্যাটারি খরচ বেশি হচ্ছে কেন
সমস্যার সমাধান করতে হলে একেবারে গোড়ায় যাওয়া ছাড়া অন্য উপায় নেই। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সেটিংসয়ে গিয়ে ব্যাটারি মেনুতে যান। ব্যাটারি ইউসেজ চেক করলেই বুঝতে পারবেন কোন কোন সার্ভিস বা অ্যাপের জন্য বেশি ব্যাটারি খরচ হচ্ছে। তার মধ্যে কোনওটা যদি অপ্রয়োজনীয় মনে হয়, তা হলে বাদ দিন।
২. যে ক’টা অ্যাপ খুলছেন, সেগুলি কাজ শেষ হয়ে গেলে বন্ধ করে দিন
ব্যাকগ্রাউন্ডে অ্যাপ খোলা থাকলে বেশি ব্যাটারি খরচ হয়। ফোন খুললেই যেন অ্যাপ চালু না হয়ে যায়, সে ব্যবস্থাও করতে হবে।
৩. স্ক্রিনের ব্রাইটনেস আর রেজোলিউশন কমিয়ে রাখুন
স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা আর রেজোলিউশন কমিয়ে রাখলে ব্যাটারি খরচও কম্বে অনেকটা। সেই সঙ্গে কমিয়ে রাখবেন মিডিয়া সাউন্ড। ফোনের রিং টোন বেশি হলে বা খুব জোরে অডিয়ো বাজলে তাড়াতাড়ি ব্যাটারিও শেষ হয়।
৪. ভাইব্রেটর অফ করে দিন
ফোন ভাইব্রেট করলে যে বেশি ব্যাটারি ক্ষয় হয়, এটা তো একটা শিশুও জানে! কল ভলিউম বাড়ানো থাকলে ভাইব্রেটর অন করে রাখার কোনও দরকার নেই। অফ থাকলে অবশ্য দেওয়া যায়।
৫. ব্যবহার না করলে ওয়াই-ফাই, ব্লু টুথ অফ করে রাখা উচিত
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ড্রপডাউন নোটিফিকেশন বারে এই সমস্ত ফিচারগুলি পাবেন – ব্যবহারের প্রয়োজন পড়লে তখনই অন করুন। যদি দেখেন সিগনাল খুব খারাপ আসছে, তা হলে এয়ারপ্লেন মোড অন করে রাখুন। তাতেও ব্যাটারি বাঁচবে বেশ খানিকটা।
৬. একান্ত প্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন ছাড়া বাকি সব অফ রাখুন
আপনার ফোনের সমস্ত অ্যাপই নোটিফিকেশন পাঠানোর অনুমতি চাইবে, কিন্তু বেছেবুছে একান্ত জরুরিগুলিকেই অন করে রাখুন। সোশাল মিডিয়া যাঁদের কাজে লাগে, তাঁরা অন করে রাখতে পারেন, বাকিরা দিনের শেষে গিয়ে চেক করে নেবেন।
৭. ব্যবহার করুন পাওয়ার সেভিং মোড
সাধারণত ফোনের চার্জ ২০ শতাংশে গিয়ে ঠেকলে পাওয়ার সেভিং মোড আপনিই অন হয়ে যায়। কিন্তু ইচ্ছে করলেই সেটাকে ৩০ শতাংশে সেট করে রাখতে পারেন। কিছু ফোনে আলট্রা পাওয়ার সেভিং মোড থাকে, তাতে ২০ শতাংশ ব্যাটারিতেও টানা একদিন ফোন ব্যবহারযোগ্য থাকে। আপনার ফোন সেই গোত্রের কিনা দেখে নিন।