শুধু ডায়েট নিয়ে ভাবলে চলবে না, স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গেলে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে হবে আপনার রান্নার জায়গাটিকেও। খাবার পাওয়া যায় বলে রান্নাঘরে বসত করে রাজ্যের পোকামাকড়। রান্নাঘর নিয়মিত সাফসুতরো না করলে তাদের উৎপাত এড়াতে পারবেন না।
রান্না করার সময়ে কিছু পরিচ্ছন্নতাবিধি মেনে চললে আখেরে আপনার ও পরিবারের সবার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। সেটাও কিন্তু এই বাজারে একটা বিরাট বিনিয়োগ! তাই আজ থেকেই মেনে চলুন কিছু বিশেষ নিয়মকানুন।
রান্নাঘরে কোনও কাজ ‘কাল করব’ বলে ফেলে রাখবেন না: বাসন মাজার এনার্জি নেই? বা রাতের বাসন পরদিন সকালে এসে মাজবেন আপনার সহায়ক? অন্তত বাসনগুলি ভালো করে ধুয়ে সিঙ্কে নামিয়ে রাখুন। খাবারের খোঁজে পোকামাকড় রাতের বেলা এসে ঢুকবেই, রেপেলেন্ট স্প্রে করা মানে তো সেই বিষ নিজের নাকেও ঢুকবে, তাই আগেই সাবধান হোন।
অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিচেনে রাখবেন না: একগাদা সস, জ্যাম, জেলি, চকোলেট, গুঁড়ো দুধ, কনডেন্সড মিল্ক ইত্যাদি ছড়িয়ে ফেলে রাখবেন না রান্নাঘরে, বাজার থেকে কেবল ততটুকুই কিনুন যতটা আপনি ব্যবহার করবেন। তাতে খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখাও সম্ভব হবে।
রান্নাঘরের টেবিল টপ নোংরা হলে তক্ষুণি পরিষ্কার করে ফেলুন: কিচেনের টেবিলে হঠাৎ তরকারির ঝোল পড়ে গিয়েছে? মাছ ভাজতে গিয়ে তেলের ছিটে পড়েছে গ্যাস টপে? তখনই পরিষ্কার করে নিন, হাতের কাছে কিচেন টাওয়েল রাখবেন অবশ্যই। ভাত গালার পর মাড় ফেলে না দিয়ে তাতে কিচেন টাওয়েল ডুবিয়ে রেখে রোজ ধুয়ে নিন, দেখবেন ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। কিচেন টাওয়েল রোজ পরিষ্কার করা বাধ্যতামূলক। একই কথা খাটে চপিং বোর্ড আর ছুরির ক্ষেত্রেও।
নিয়মিত ফ্রিজ পরিষ্কার করুন: ফ্রিজ ছাড়া কিন্তু চলবে না। তাই বলে ফ্রিজে একগাদা জিনিসপত্র ঠেসে ভরে রাখবেন না। নিয়মিত পরিষ্কার করুন। যে সব ফল-সবজি নরম হয়ে এসেছে, সেগুলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবহার করে ফেলুন। যদি মনে হয় একেবারেই করা যাবে না, তা হলে গারবেজ ব্যাগে ভরে রাখুন। গারবেজ ব্যাগ প্রতিদিন বের করে দিতে হবে, যাঁরা সার তৈরি করতে চান তাঁরা অবশ্য পুরনো সবজির খোসা, চা পাতা ইত্যাদি সার তৈরির বিশেষ পাত্রে জমিয়ে রাখতে পারেন। তবে সেটা কিচেনের বাইরে রাখুন অবশ্যই।
প্রতিদিন কিচেন ফ্লোর, সিঙ্ক পরিষ্কার করুন: সহায়ক থাকুন বা না থাকুন, রোজ রান্নাঘরের মেছে মোছা আর রাতে শুতে যাওয়ার আগে সিঙ্ক আর রান্নাঘরের নর্দমা পরিষ্কার করাটা আপনার কাজ। সম্ভব হলে সেখানে এক টুকরো কর্পূর রেখে দিন, তা হলে এড়াতে পারবেন পোকামাকড়ের আক্রমণ।