বয়স যাই হোক না কয়েন, গ্রীষ্মকালে ত্বকের সমস্যায় কম-বেশি সবাই ভোগেন। গালে, গলায় র্যাশ বা অ্যালার্জি বেরোলে দেখতে তো খারাপ লাগে, সমস্যাটা অত্যন্ত বিরক্তিকরও। কী থেকে তা হয় খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন আগে।
কোনও বিশেষ ধাতু বা ফ্যাব্রিক থেকে র্যাশ বেরোচ্ছে না তো? অনেকেরই দেখবেন ইমিটেশন গয়না পরলে র্যাশ বেরোয়। কারও কারও উল বা পশমিনার মতো কোনও ফ্যাব্রিকের সঙ্গে ত্বকের ঘষা লাগলে অ্যালার্জি হয়। আপনাকেও একটু ঠান্ডা মাথায় বোঝার চেষ্টা করতে হবে সমস্যাটা কী থেকে হচ্ছে।
ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ কমাতে হবে: শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে থাকার কারণেও মুখে র্যাশ বেরোতে পারে। ইনফ্লামেশন কমানোর জন্য আদা, গোলমরিচ, কাঁচা হলুদ, দারচিনি আর মেথি খুব ভালো করে ফুটিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিন। তার পর একটু ঠান্ডা করে আধখানা লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন।
সেই সঙ্গে কিছুদিনের জন্য আমিষ খাওয়া বন্ধ রাখুন, ছাড়তে হবে প্রসেসড ফুড, নরম পানীয়, দুধ, গ্লুটেন বা অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়াও। খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণে আসার পর র্যাশের চরিত্রে বদল এলে কারণটা চট করে ধরে ফেলতে পারবেন। যদি মনে হয় এতে কাজ হচ্ছে না, ডাক্তার দেখান। ইনফ্লামেশন থেকে কিন্তু নানা সমস্যা হতে পারে।
জামাকাপড় বা চুল রং করার জন্য ব্যবহৃত ডাইও কালপ্রিট হয়: জামাকাপড় রং করার জন্য বা চুল রং করার জন্য আপনি যে ডাইটি বেছে নিচ্ছেন, তার কোনও উপাদান থেকেও র্যাশ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। কিছুদিনের জন্য সেগুলির ব্যবহার বন্ধ করে দেখুন কোনও লাভ হচ্ছে কিনা। হেয়ার ডাই ব্যবহারের আগে অবশ্যই একবার প্যাচ টেস্ট করিয়ে নেওয়া উচিত।
নতুন কেনা প্রসাধনীর ব্যবহার বন্ধ করে দেখুন: নতুন কোনও ময়েশ্চরাইজ়ার, সানস্ক্রিন, কাজল কিনেছেন এবং তা রোজ ব্যবহার করছেন? তারই উপাদানে এমন একটা কিছু থাকতে পারে যা আপনার র্যাশ বেরনোর মূল কারণ। যত শিগগির সম্ভব সেটির ব্যবহার বন্ধ করুন ও ফারাকটা দেখুন।
সুগন্ধিযুক্ত প্রডাক্ট এর কারণ নয় তো? কোনও সুগন্ধি ক্রিম, ময়েশ্চরাইজ়ার, সাবান ব্যবহার করবেন না। এমন প্রসাধনী বেছে নিন যা প্রাকৃতিক, কোমল ও গন্ধহীন। সেই সঙ্গে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখাটাও একইরকম জরুরি। ময়েশ্চরাইজ়ার হিসেবে কোল্ড প্রেসড নারকেল তেল বেছে নিতে পারেন। কোল্ড প্রেসড আমন্ড অয়েলও খুব ভালো হয়।
খুশকি বা ওই জাতীয় কোনও ফাঙ্গাল ইনফেকশন নেই তো? মাথায় খুশকি থাকলে বা ভুরু বা চোখের পাতায় কোনও ইনফেকশন হলেও কিন্ত র্যাশ বেরনোর আশঙ্কা থাকে। কোনও ওষুধপত্র ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারকে একবার দেখিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন।
এর সমাধান কী হতে পারে: অ্যালো ভেরা জেল, কোল্ড প্রেসড নারকেল তেল, চন্দনের প্রলেপ, নিমপাতা বাটা র্যাশে ব্যবহার করে দেখতে পারেন। সেই সঙ্গে শুরু করুন নিয়মিত আমলকী খাওয়া। খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি-র পরিমাণ বাড়ালে ত্বকও নানা সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে পারবে।