লেবুতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে এবং তা আমাদের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, এ তথ্য সবার জানা। তা খাবারের স্বাদ বাড়াতে পারে ম্যাজিকের মতো, কাজ করে ম্যারিনেড হিসেবে – এর মধ্যেও কোনও চমক নেই। কিন্তু তা ছাড়াও পাতিলেবু আপনার দৈনন্দিন ঘরোয়া সমস্যার সমাধানে দারুণ সাহায্য করতে পারে৷
দাগ লেগেছে পোশাকে? ব্যবহার করুন লেবুর রস: জামায় বিচ্ছিরি দাগ লাগলে সকলেরই মন খারাপ হয়৷ দাগের জায়গাটায় ভালো করে লেবুর রস লাগান, সঙ্গে দিন সামান্য নুন৷ বেশ কয়েক ঘণ্টা এইভাবে রেখে দিন৷ তার পর এটা ধুয়ে সাবানজলে ভেজাতে হবে৷ মনে রাখবেন, কেবলমাত্র হালকা রঙের সুতির পোশাকেই এটা করা সম্ভব, গাঢ় রঙের পোশাকে ট্রাই করতে গেলে রং চটে যাওয়ার আশঙ্কা আছে৷ কেচাপ, কফি, তরকারির দাগ খুব সহজেই উঠে যায় এই পদ্ধতিতে৷
ফ্রিজের গন্ধ তাড়ান: বেশিদিন পরিষ্কার না করা হলেই ফ্রিজের মধ্যে গুমোট একটা গন্ধ হয়৷ সেটা তাড়াতে চাইলে ফ্রিজের মধ্যে লেবুর টুকরো কেটে রাখতে পারেন৷ তবে আদা-রসুনবাটা, কাটা পেঁয়াজ, কাঁঠাল, বেলের মতো তীব্র গন্ধযুক্ত ফল থাকলে কিন্তু এই টোটকায় কোনও কাজ দেবে না৷
কাটা ফলের গায়ে দাগ ধরা ঠেকায়: বেশি আগে থেকে ফল কেটে রাখলে তার গায়ে কালো দাগ ধরে যায়৷ এই পরিস্থিতি এড়াতে চাইলে এক বাটি ঠান্ডা জলে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে তাতে ফলের টুকরোগুলো ভিজিয়ে রাখুন বেশ খানিকক্ষণের জন্য৷ তার পর তুলে নিলে ফলের গায়ে অনেকক্ষণ কালো দাগ ধরবে না৷
খুশকি তাড়াতে সাহায্য করে: স্নানের 10 মিনিট আগে মাথায় লেবুর রস আর কোল্ড প্রেসড নারকেল তেলের মিশ্রণ লাগিয়ে নিন৷ তার পর ভালো কোনও অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন৷ লেবুর রসের সাইট্রিক অ্যাসিড খুশকি তাড়াতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা নেয়৷ এর অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল প্রপার্টি যে ছত্রাকের কারণে খুশকি হয় সেগুলির নিধনে সাহায্য করে৷
নখের দাগ-ছোপ তাড়ায়: নখে লেগে থাকা হলুদের ছোপ তাড়াতে চাইলে এক কাপ গরম জলে আধখানা লেবুর রস চিপে দিন৷ হাত মিনিট পাঁচেক ডুবিয়ে রাখুন৷ তার পর লেবুর খোসা ঘষে নিন ভালো করে৷ নখের সব দাগ-ছোপ দূর হবে, হাত হয়ে উঠবে সুগন্ধি৷
মাইক্রোওয়েভের তেলচিটে ময়লা তাড়ান: একটা বাটিতে লেবু আর জল নিয়ে পাঁচ মিনিট মাইক্রো করে নিন। তার পর বাটিটা বের করে ভালো করে মুছে নিন পরিষ্কার একটা কাপড় দিয়ে। আপনার মাইক্রোওয়েভ ঝকঝক করবে!
বানান নিজস্ব এয়ার ফ্রেশনার: লেবুর খোসায় থাকে এসেনশিয়ান অয়েল। হলুদ বা সবুজ খোসাটা লেবুর উপর থেকে ছাড়িয়ে নিন পাতলা করে, তার পর জলে ফুটিয়ে নিতে হবে ভালো করে। ছেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার নিজস্ব ফ্রেশনার। এবার ঘরে ছড়ান, পোকামাকড় ধারে-কাছেও আসবে না। মিশিয়ে নেওয়া যায় ঘর মোছা জলেও।