রোজ সকালে ঘুম ভাঙে শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে? পেট ভার, গলা বুক জ্বালা, বদহজমের সঙ্গে কি আপনার নিত্য ওঠাবসা? সকাল থেকে মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড খান? একটা কথা জেনে রাখুন, কেবল ওষুধে কিন্তু নিরাময় হবে না। আপনাকে সমস্যার কারণ খুঁজে বের করতেই হবে।
চলতি কথায় আমরা যাকে ‘অ্যাসিড’ বলি, তা হচ্ছে খাবার হজমের জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাসট্রিক জ্যুস। স্বাভাবিক অবস্থায় এগুলি নিম্নগতির হয়, খাবার হজমে তার সক্রিয় ভূমিকা থাকে। যখন তা নিচের দিকে না গিয়ে উপরে উঠে আসে, তখন শরীরে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়।
রোজ শরীরে বাড়তি অ্যাসিড তৈরি হওয়াটা হালকাভাবে নেবেন না, বেশিদিন এরকম চলতে থাকলে বাড়বে ইনফ্লামেশন। ধীরে ধীরে কনস্টিপেশন ও অন্য নানা সমস্যা আপনাকে ভোগাতে আরম্ভ করবে। এমনও হতে পারে যে শরীরে অন্য কোনও রোগ বাসা বেঁধেছে বলেই এমনটা হচ্ছে! তাই একবার ডাক্তার দেখিয়ে নিন।
বেশি রাত করে খাওয়া, কাপের পর কাপ কফি বা চা পান করা, অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি খাওয়ার কারণেও অ্যাসিডিটি হতে পারে। এড়িয়ে চলুন অতিরিক্ত তেল মশলা, ভাজাভুজি, প্রসেসড ফুড। বেশি করে ফল, সবজি আর জল খেতে হবে।
শুনতে একটু আশ্চর্য লাগলেও উষ্ণ জলে লেবু চিপে খেয়ে দিন শুরু করলে নিশ্চিতভাবেই উপকার পাবেন। লেবুর প্রভাবে আপনার সিস্টেম অ্যালকালাইজ়ড বা ক্ষারীয় হবে, বাড়তি অ্যাসিডের প্রভাব কেটে যাবে।
সারা রাত এক লিটার জলে এক চাচামচ জিরে ও এক চাচামচ কাঁচা জোয়ান ভিজিয়ে রাখুন। মৌরি ভেজানো জলও খুব কাজের। সকালে খালি পেটে এই জল ছেঁকে পান করুন। বিশেষ করে গর্ভবতী ও স্তন্যদান করছেন এমন মায়েদের ক্ষেত্রে ঘরোয়া সমাধানটি দারুণ কাজের।
ঠান্ডা দুধের ক্যালশিয়াম অ্যাসিডের বাড়াবাড়ি শোষণ করে নেয়। তাই অনেকেই অ্যাসিডিটির সমস্যায় ঠান্ডা দুধের উপর আস্থা রাখার নিদান দেন। দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিডও কিন্তু বাড়তি অ্যাসিডের হাত থেকে মুক্তি দিতে খুব কার্যকর। তা ছাড়া ঘোলের প্রোবায়োটিকের প্রভাবেও অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে আসে।
হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যার সমাধানে আদা দারুণ কার্যকর। যাঁরা অ্যাসিডিটিতে প্রায়ই ভুগছেন, তাঁরা এক ইঞ্চি আদা আর গোটা চার-পাঁচ পুদিনার পাতা ভালো করে ধুয়ে খুব করে ফুটিয়ে নিন। চায়ের মতো পান করুন চুমুক দিয়ে।