মখমলের মতো কোমল ত্বকের মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন না, এমন মানুষ দুনিয়ায় বিরল। আজকাল তো মেয়েদের পাশাপাশি বহু পুরুষও নিয়মিত ওয়্যাক্সিং করান। কিন্তু মনে রাখবেন, সনাতন কাল থেকে কিছু ঘরোয়া উপাদানের উপর ভরসা করেই চলত মানুষ। তার কোনওটা ট্রাই করে দেখেছেন কী?
ওয়্যাক্সিং বা থ্রেডিংয়ের মতো পদ্ধতিগুলি খরচসাপেক্ষ, তা ছাড়া ত্বকের আঘাতেরও কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক খুব স্পর্শকাতর, তাঁদের র্যাশ বেরোতে পারে, রোদ্দুরে বেরোলে পুড়েও যায় তাড়াতাড়ি। তাই ভরসা রাখুন দেশজ রূপটানের উপর। তাতে প্রথমবারেই ওয়্যাক্সিংয়ের মতো ফল পাবেন না হয়তো, কিন্তু ধীরে ধীরে রোমের বাড় কমতে আরম্ভ করবে এবং ত্বক হয়ে উঠবে রেশম-কোমল।
হলুদ, বেসন আর গোলাপ জলের প্যাক: শীতের দিনে হাতের কাছেই মিলবে কাঁচা হলুদ, তার সঙ্গে মেশান বেসন আর গোলাপ জল। মুখে, গায়ে, হাতে, পায়ে ভালো করে মেখে নিন এই প্যাকের পরত। অল্প ভিজে থাকা অবস্থাতেই আলতো হাতে ঘষে তুলে ফেলুন। তার পর ধুয়ে স্নান করে নিন। স্নানের পর ময়েশ্চরাইজার মাখাও খুব জরুরি।
মুসুর ডাল, আলু আর মধুর পরত: সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন মুসুর ডাল, আলু গ্রেট করে নিন। সবটা বেটে নিতে হবে। তার পর মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি করুন প্যাক। শীতকালে এর মধ্যে মেশাতে পারেন কমলালেবুর খোসাও। স্নানের আগে সপ্তাহে তিন-চারদিন ব্যবহার করুন। যদি আপনার ত্বক খুব শুকনো প্রকৃতির হয়, তা হলে এর সঙ্গে দুধের সর মেশাতে হবে। আর মশলা বাটার শিলে প্যাক তৈরি করবেন না।
ডিম আর কর্নফ্লাওয়ারের প্যাক: ডিম আর কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন৷ গোটা গায়ে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা শুকোতে দিন৷ তার পর প্যাকটাকে টেনে তুলে দিন৷ আপনার রোমের বাড় যেদিকে, তার উলটো দিকে টেনে তুলুন। এই পদ্ধতিকেও প্রাকৃতিক ওয়্যাক্স বলতে পারেন৷ প্যাক তোলার পর ত্বক খুব লাল হয়ে গেলে বরফ বুলিয়ে নিন।
দই, আটা আর মধুর মাস্ক: বাড়িতে পাতা টক দই, আটা, মধু আর লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে একটা ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই রূপটান দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে ত্বকের সুস্বাস্থ্য ফিরবে, এ ব্যাপারে গ্যারান্টি দেওয়া যায়!