সবার বাড়িতেই আজকাল আগের চেয়ে বেশি দ্রুত খালি হয়ে যাচ্ছে কফির শিশি বা জ্যামের বোতল। বাড়ি থেকে অফিস বা স্কুলের কাজ করলে তো তেমনটাই হওয়ার কথা! তা ছাড়া জমেছে সুদৃশ্য বিয়ার বা ওয়াইনের বোতল। এবার প্রশ্ন, এত বাড়তি কাচের বোতল নিয়ে কী করা যায়?
আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, রান্নাঘর থেকে প্লাস্টিক বাদ দিন ধীরে ধীরে। তার বদলে এই বোতলগুলি ব্যবহার করতে আরম্ভ করুন। লম্বা বোতলে জল ভরে রাখুন। তবে তার আগে বোতলের একটু মেকওভার করে নেবেন নাকি? আর কিছুই না, দেখতে সুন্দর লাগবে।
বোতলের গায়ে আঁকিবুঁকি কাটা বা রং লাগানোর কাজে কিন্তু পরিশ্রম আর খরচ, দুটোর কোনওটাই বেশি নয়। লাগবে অ্যাক্রিলিক পেন্ট আর তুলি, অথবা স্পঞ্জ। স্পঞ্জ না থাকলে কাজটা পুরোনো রুমাল দিয়েও সেরে ফেলতে পারবেন! তবে তা যেন পরিষ্কার হয়, সেটা দেখতে হবে।
বোতলের গায়ে লেগে থাকা স্টিকার, লেবেল তোলার জন্য একটা বড়ো জায়গায় সাবানজল করে নিন। হালকা গরম সাবানজলে বোতলগুলো ডুবিয়ে রাখুন। ঘণ্টা ১২-১৪ এভাবে থাকার পর নতুন একটা স্ক্রাবার দিয়ে ঘষে দিলেই সব উঠে যাওয়ার কথা। একান্ত তা না হলে আরও একবার ডুবিয়ে রাখুন।
বোতল পরিষ্কার করে নিন নিয়মমাফিক, বিশেষ করে যদি খাবার জিনিস বা জল রাখার প্ল্যান করে থাকেন। সেক্ষেত্রে খুব ভালো করে পরিষ্কার করে নেওয়া একান্ত দরকার।
তার পর শুকিয়ে নিতে হবে ভালো করে। খোলা হাওয়ায় শুকিয়ে নেওয়ার পর রোদে দিয়ে রাখুন। তাতে জীবাণুমুক্ত হয়ে যাবে আপনার বোতল। এই পুরো প্রক্রিয়ায় যদি দিন দুয়েক সময় লাগে, চিন্তা করবেন না।
শুকনো, পরিষ্কার বোতলে এবার রং করার পালা। বেছে নিন আপনি কোন ধরনের প্যাটার্ন নিয়ে কাজ করতে চান। ইন্টারনেটে অজস্র উদাহরণ ছড়িয়ে আছে। যাঁরা কোনওদিন এই ধরনের কোনও কাজ করেননি, তাঁরাও যদি একটু সময় নিয়ে আর ভেবেচিন্তে থুপে থুপে রং লাগিয়ে দেন বোতলের গায়ে, তাতেও সুন্দর দেখাবে।
অ্যাক্রিলিক পেন্ট শুকনো হতে কিন্তু খানিক সময় লাগে। রং করার পর পরই হাত দেবেন না, জাস্ট এমনি ছেড়ে রেখে দিন। এক-দেড়দিন পরেই আপনার বোতল রেডি হয়ে যাবে। এবার ইচ্ছেমতো জিনিস রাখতে পারেন।
অনেকে এর মধ্যে ইন্ডোর প্লান্ট রাখেন, কেউ কেউ আবার ছোট্ট টুনি বাল্ব পুরে তৈরি করেন মায়াবি আলোর খেলা। আপনি কোন পথে এগোবেন, সেটা ঠিক করে ফেলুন এবার!