মার্চ মাসের পর থেকে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সঙ্গে যে ঘনিষ্ঠতা শুরু হয়েছে, তার শেষ যে কবে হবে তা কেউ জানে না! আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে বাড়িতে আগুন লাগলে গয়নাগাঁটি বা পাসপোর্ট নয় আগে ল্যাপটপ রক্ষার কথা ভাববেন বেশিরভাগ চাকরিজীবী।
কিন্তু আমরা যেভাবে ল্যাপটপ ব্যবহার করি, তার কারণেই সময়ের আগে তার জীবনীশক্তি কমে আসে। এলসিডি মনিটর টেনে ল্যাপটপ তোলা, খেতে খেতে এঁটো হাতে কি-বোর্ড ব্যবহার করা ইত্যাদি ছোটোখাটো অপরাধ। আরও বড়ো কয়েকটি সমস্যা আছে, যে সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত।
বিছানায় ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করবেন না
কেবল বিছানা নয়, গদি, সোফা বা কোলের মতো নরম জায়গার উপর ল্যাপটপ বসিয়ে টানা অনেকক্ষণ কাজ করবেন না। তাতে যে কেবল আপনার ঘাড়ে ব্যথা হবে তাই নয়, গ্যাজেটের ক্ষতি হবে অনেক বেশি।
ল্যাপটপের বডি যাতে বাড়তি গরম না হয়ে যায়, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকে তার নিচে। শক্ত সারফেসে কার্যকর থাকে সেই পদ্ধতি। তলায় পাখা লাগানো এক ধরনের এনক্লাইনড স্ট্যান্ড পাওয়া যায়, তেমন কিছুর উপর রেখে কাজ করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।
ল্যাপটপের চার্জিং পয়েন্টে আর্থিং করা আছে তো?
যে পয়েন্টে ল্যাপটপ চার্জ করা হয়, সেই পয়েন্টে আর্থিং না করা থাকলে কিন্তু অ্যাডাপ্টর খারাপ হবে বার বার। বিদ্যুতের ব্যাপারে একেবারে রিস্ক নেওয়া ঠিক হবে না।
রিসাইকেল বিন আর টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট করুন
ল্যাপটপ স্লো হয়ে যায় বার বার? তা হলে নিয়মিত রিসাইকেল বিন পরিষ্কার করুন, ডিলিট করে দিন টেম্পোরারি ফাইল। এটা ম্যানুয়ালি না করলে ল্যাপটপ ভারী হয়ে যাবে।
ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড অটো সেভ মোডে রাখবেন না
একান্ত নিজের ব্যবহারের ল্যাপ্টপ হলে আলাদা কথা, না হলে কখনও অটো সেভ মোড ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড সেট করা উচিত নয়। অফিসের ল্যাপটপ বা অন্য কারও ল্যাপটপ ব্যবহার করলে তো তা একেবারেই করবেন না। এতে ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হতে পারে।
জুম মিটিং বা কল শেষ হওয়ার পর লগ আউট করুন
আজকাল সবাইকেই কম-বেশি নানা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হচ্ছে। জানেন কি, ভিডিও কল বা কনফারেন্সের প্রতিটি সেশন শেষ হওয়ার পর লগ আউট করা একান্ত জরুরি? তা না হলে ব্যাক এন্ডে সেশন চলতেই থাকবে।
ল্যাপটপের কাছাকাছি তরল জিনিস খাবেন না
চা, কফি, নরম পানীয়, জ্যুস কিছুই খাবেন না ল্যাপটপের কাছে। উলটে পড়লে নোংরা হবে, ভিতরের মাইক্রো-ইলেকট্রনিক চিপে তরল ঢুকে গেলে শর্ট সার্কিট হয়ে যাবে।