এ প্রশ্ন নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় ভুগছেন। কিন্তু সত্যি কথাটা হচ্ছে, এক কথায় উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। যাঁদের কোভিড হালকা ছুঁয়ে গিয়েছে, তাঁদের এক রকম অভিজ্ঞতা হচ্ছে। যাঁরা খুব জটিল ইনফেকশন বাধিয়েছিলেন এবং হাসপাতাল বা অক্সিজেন সাপোর্টে ছিলেন, তাঁরা আবার একেবারে অন্য সমস্যায় ভুগছেন।
একটা কথা খেয়াল রাখা খুব জরুরি – সবাই এক সময়ে সেরে উঠবেন না। কারও কারও বেশি সময় লাগছে। আপনি হয়তো ভাবছেন, কুড়ি দিন বাদেও শরীরে জোর আসছে না বা কাশি সারছে না কেন – অমুকের সেরে গেল, আমি মাথা তোলার জোর পাচ্ছি না – এভাবে কারও সঙ্গে তুলনা করে মন খারাপ করবেন না।
দেখা যাচ্ছে যে, ভাইরাল লোড যাঁদের বেশি, বা হয়তো ক্রনিক অ্যাস্থমা/ ব্লাড সুগার/ কিডনির দুর্বলতা ইত্যাদির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই নানা ওষুধপত্র খেতে অভ্যস্ত ছিলেন, বা ইমিউনিটি দুর্বল – তাঁদেরই সেরে উঠতে বেশি সময় লাগছে।
ডাক্তাররা বার বার কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলছেন। এই নিয়মগুলি যে কোনও বয়সের রোগীর ক্ষেত্রেই লাগু হবে।
. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা একান্ত জরুরি। আজকাল অনেক কম বয়সেই নানা কারণে রক্তে চিনির মাত্রাধিক্য দেখা যায়। কোভিড জটিল হয়ে উঠলে চিকিৎসায় স্টেরয়েড ব্যবহার করতে হয়। তাতে ব্লাড সুগার আরও বাড়ে। তাই সুস্থ হয়ে ওঠার সময়ে আপনাকে ডায়েটের ব্যাপারে খুব সচেতন থাকতে হবে।
. মনে রাখবেন, রোগটা আপনার ফুসফুসকে জখম করেছে নিশ্চিতভাবে। তাই আরও ক্ষতি না চাইলে ধূমপান বন্ধ করুন। ডাক্তারের শিখিয়ে দেওয়া ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে ভুলবেন না। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে বা সংক্রমণ ধরা পড়ার দিন পনেরো পরেও কাশি সারছে না? ডাক্তারকে জানাতে হবে, অনেকেরই এরকম হচ্ছে। ভেঙে পড়বেন না।
. বিশ্রাম নিতে হবে। ফোন, সোশাল মিডিয়া সব কিছু থেকে দূরে সরে যেতে হবে কিছুদিনের জন্য। রোগী যত বিশ্রামে থাকবেন, তত তাড়াতাড়ি সেরে উঠবেন।
. পুষ্টিকর খাবার ও পানীয় গ্রহণ করতে হবে পথ্য হিসেবে। খাবারে তেল-মশলা-ঝাল কিছুই চলবে না। হালকা, সহজপাচ্য খাবার দিন রোগীকে। বার বার অল্প অল্প করে খেতে হবে।
. অক্সিজেন স্যাচুরেশন মনিটর করা বন্ধ করবেন না। ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলুন।
. শরীর ভালো লাগলে হাঁটাচলা করুন ঘরের মধ্যেই। অল্প অল্প ব্যায়াম করলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।