ক’দিন যা গরম পড়েছে, তাতে হাড়-মাস ভাজা ভাজা অবস্থা – তাই না? শুকনো গরম যেন আগুনের হলকা ছোটাচ্ছে, তার উপর আছে বাড়তে থাকা ভাইরাসের দাপট। এই পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকার জন্য আপনার রুটিন কেমন হওয়া উচিত?
. প্রথমেই খুব সিম্পল খাওয়াদাওয়ার একটা রুটিন তৈরি করে নিন। সারা দিন প্রচুর জল খেতে হবে, ফল-শাকসবজি খেতে হবে। মোচা, থোড়, এঁচোড়, ঝিঙে, উচ্ছে, বরবটি, কাঁচা আমের মতো মরশুমি শাকসবজি খাওয়া মাস্ট। তা আপনার শরীরে জলের সাম্য বজায় রাখবে।
. খুব তেল-মশলা দিয়ে গরগরে করে রাঁধা কোনও খাবার খাবেন না, তাতে বিপাকের সমস্যা তৈরি হবে। ঘরে পাতা টক দই, তরমুজ, শসা, জামরুল খান অবশ্যই। পাকা আম, লিচু, কাঁঠাল, কালোজাম – সবই পরিমাণমতো খেলে কোনও আসুবিধে নেই।
. কখনও পেট ভরে খাবেন না, খানিকটা জায়গা খালি রাখুন। ছাতুর শরবত, দইয়ের ঘোল, নুন-চিনির শরবত খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। এক জগ জলের মধ্যে কয়েকটা শসা, লেবুর টুকরো, পুদিনা ইত্যাদি সারা রাত ভিজিয়ে রেখে ফ্লেভারড ওয়াটার বানিয়ে নিতে পারেন।
. সুতির হালকা রঙের, ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। স্লিভলেস পরতে ভালো লাগলেও তা আপনার ত্বককে কোনওরকম সুরক্ষা জোগাবে না। ত্বক পুড়ে যাবে, শরীরের তাপমাত্রা বাড়বে। তাই দিনের বেলায় শরীর যতটা সম্ভব ঢেকে রাখতে হবে। মাস্কের ফলে নাক-মুখ দিয়ে রোদের হলকা শরীরে ঢুকবে না, এইটা বিরাট বাঁচোয়া।
. ছাতা আর রোদ চশমা ব্যবহার করুন অবশ্যই। হুট করে ঠান্ডা জল খেয়ে ফেলা, গরম থেকে এসেই এসি চালানো বা স্নান করার মতো বদভ্যাস ছাড়তে না পারলে কিন্তু সর্দি-গরমি হবে। দিনে দু’বার স্নান করুন, অন্তর্বাস বদলান।
. সকালে মর্নিং ওয়াকে যান? সেটা পিছিয়ে বিকেলে নিয়ে যেতে পারলে ভালো হয়। বিকেলে সূর্যাস্তের পর তাপমাত্রা কমে অনেকটাই, তখন ব্যায়াম করলে বেশি ঘামবেন না।
. যদি সম্ভব হয়, তা হলে বেলা ১১টা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত বাড়িতেই থাকুন। ওই সময়েই রোদের তেজ সবচেয়ে বেশি থাকে।
. তুলসির বীজ বা সবজা (অনেক জায়গায় তুকমলঙ্গা নামেও পরিচিত) খাওয়া অভ্যেস করুন। সামান্য দামে কিনতে পাওয়া যায় যে কোনও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে, জলে মিনিট ১৫ ভিজিয়ে রাখলেই রেডি! শরীর ঠান্ডা রাখে, পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, জোগায় ফাইবার আর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।
. জোয়ান, জিরে, মৌরি, পোস্ত রান্নায় ব্যবহার করুন – এগুলি গরমকালের জন্য খুব ভালো।