বাঙালিরা মাছভাত খেয়ে দুপুরে ঘুম দেয় বলে একটা বদনাম আছেই, তাই না? অনেকে মনে করেন আসল কালপ্রিট হচ্ছে ভাত (তাই দুপুরের ঘুমের নাম ভাতঘুম!) – ডায়েট থেকে ভাতটা বাদ দিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আসলে কিন্তু সমস্যাটা হয় পেট ঠেসে খেলে। আপনি অল্প করে ভাত-ডাল-তরকারি খান দুপুরে, কিচ্ছু হবে না। কিন্তু জমিয়ে বিরিয়ানি খেলেই চোখ টেনে আসবে। কারণ অতটা খাবার হজম করতে আপনার শরীরের প্রচুর খাটনি আছে। তখন অ্যালার্ট থাকা মুশকিল।
তাই সারা দিন সমান মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে গেলে আপনাকে বারে বারে অল্প করে খাবার খাওয়ার অভ্যেস তৈরি করতে হবে। খেয়ে উঠেই ঘুমিয়ে পড়াটা নিয়মিত রুটিন হয়ে গেলে মুশকিল, তখন কিন্তু শরীরে মেদের বাহুল্য দেখা দেবে। আর ঘুম থেকে উঠেই যাঁরা চা, চপ, মুড়ি, চানাচুর ইত্যাদি খেতে ভালোবাসেন, তাঁরাও সাবধান – বাড়তি ক্যালোরি ঢোকার রাস্তাটা বন্ধ করুন।
. আগের রাতে ঘুম না হলে দুপুরে একটু ঘুমিয়ে নিতে পারেন। বা পরদিন বেশি কাজের চাপ থাকলে বা লম্বা রাস্তা ড্রাইভ করে কোথাও যাওয়ার থাকলেও দুপুরে একটু রেস্ট নিয়ে নেওয়া উচিত।
. এক-আধদিন ভারী খাবার খেয়ে ঘুমোলেও মহাভারত অশুদ্ধ হয় না।
. যাঁরা খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন বা অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করেন, তাঁরা দুপুরে একটু শুলে অ্যালার্ট থাকতে পারবেন।
. যাঁদের শারীরিক পরিশ্রম খুব বেশি হয়, তাঁরাও দুপুরে ঘুমোতে পারেন। তাতে রিকভারি ভালো হবে।
. অল্প ঘুমিয়ে নিলে যাঁদের ফ্রেশ লাগে, কাজে মন দিতে সুবিধে হয়, তাঁদের জন্যও দিবানিদ্রা ভালো অপশন।
. অসুখ-বিসুখ করলে শরীরকে বিশ্রাম দেওয়াটাই দস্তুর, তাই ভালো করে ঘুমোন দুপুরে।
. বয়স্ক বা বাচ্চারাও দুপুরের খাওয়াদাওয়ার পর একটু ঝিমিয়ে পড়েন, তবে কিশোর বয়সে আর তা হয় না।
. ঘুমের নানা স্টেজ থাকে। আপনি যদি একবার ডিপ স্লিপের স্তরে প্রবেশ করেন, তা হলে কিন্তু চট করে ঘুম ভাঙবে না। বা ভাঙলেও অনেকক্ষণ মাথা ভারী লাগবে। চেষ্টা করুন আধ ঘণ্টার বেশি না ঘুমোনোর, দরকারে টাইমার সেট করে দিন।
. অনেকে আছেন, যাঁরা দুপুরে একবার ঘুমোলে আর রাতে দু’ চোখের পাতা এক করতে পারেন না। তাঁরা দিবানিদ্রার অভ্যেস করবেন না।