জল নিয়ে সারা বিশ্ব জুড়ে আগামী বিশ বছরের মধ্যেই তীব্র হাহাকার শুরু হওয়ার কথা। তার অন্যতম কারণ কিন্তু আমাদের অপব্যবহার। নির্বোধের মতো রোজ আমরা প্রাকৃতিক জলের উৎসগুলিকে দূষিত করে তুলছি – তার ফলে যে কী বিপর্যয় হতে পারে, সেটা আর কারও মাথাতেই আসছে না।
এই পরিস্থিতিতে আপনার বিরাট সহায় হয়ে উঠতে পারে বৃষ্টির জল – ভারতের মতো দেশে সারা বছর যা বৃষ্টি হয়, তার অনেকটাই ব্যবহার করা সম্ভব। এ নিয়ে সরকারি তরফেও নানা প্রচার চলছে। বিশেষ করে যে সব জায়গার মানুষ জলের কষ্টে ভোগেন, সেখানে তো বর্ষার জল সংগ্রহ করে রাখাই উচিত।
এর জন্য প্রথমে আপনাকে বর্ষার জল ধরে রাখার একটা ব্যবস্থা করতে হবে। সাধারণত ছাদে নালা তৈরি করে বিশেষ পাইপের সাহায্যে জল জমিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হয় একটি রিজার্ভার বা রেন ব্যারেলে। তার পর দরকারমতো ফিল্টার করে নিয়ে তা নানা কাজে ব্যবহার করা সম্ভব। গাড়ি ধোওয়া, বাগানে জল দেওয়া, বাড়ির ছাত বা সিঁড়ি ধোওয়ার কাজে অবশ্য ফিল্টার করা জল ব্যবহারের কোনও দরকারই নেই।
সম্ভব হলে বাড়ির টয়লেটে বৃষ্টির জল ব্যবহার করার বন্দোবস্ত করে ফেলুন। এমনিতেই ফিল্টার করা জল বাথরুমে ব্যবহার করে আমরা তা নষ্টই করি। যে কোনও ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাজেই বৃষ্টির জল স্বচ্ছন্দে ব্যভার করা যায়।
মাটির নিচের জলের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে তার ভান্ডার ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। সেটা ঠেকাতে চাইলে মাটিতে খানিক বৃষ্টির জল পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। সবচাইতে বড়ো কথা হচ্ছে, নিজের বাড়িতে বা অ্যাপার্টমেন্টে এই জাতীয় কোনও ব্যবস্থা করতে চাইলে আপনি এখন সরকারি স্তরের সাহায্যও পাবেন – কারণ সরকারের তরফেই এই ধরনের কাজে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
বাড়িতে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা আছে তো? তা না থাকলে বৃষ্টির জল জমিয়ে একটা চৌবাচ্চাগোছের বানিয়ে রাখুন। তাতে আগুনের মোকাবিলা করা সহজ হবে। তবে রেন ওয়াটার হারভেস্টিংয়ের ক্ষেত্রে একটা ব্যাপার খুব গুরুত্বপূর্ণ – জল যেখানেই জমান না কেন, তা ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলেই জমা জলে মশা ডিম পাড়বে, তা থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া হতে পারে।