ধীরে ধীরে আমরা স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরার চেষ্টা শুরু করেছি। আর তার পরেই আরও বেশি করে চোখে পড়ছে যে এই ক’মাস ঘরে বসে বসে সবারই বিলক্ষণ মেদ বেড়েছে। বাড়তি ওজনের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেকেই সহজ রাস্তা খুঁজছেন। আর সেখানেই লুকিয়ে আছে বিপদ।
রোগা হওয়ার প্রথম ধাপ
আপনার শরীরে বাড়তি মেদ আছে মানেই তার যত্ন নেওয়া হচ্ছে না ঠিকমতো। যা খাচ্ছেন আর যে পরিমাণ কাজ করছেন, তার মধ্যে কোনও সাম্য নেই। আগে সেই সমতা ফেরান। প্রতিটি দিন করে তুলুন অ্যাকটিভ। ঘরের কাজ, হাঁটাচলা এ সবই বাড়তি ক্যালোরি বার্ন করে।
ঝটপট ওজন কমানো কি স্বাস্থ্যকর?
না, চট করে মেদ কমানোর কোনও রাস্তা নেই। আপনাকে কাজ করতে হবে, ব্যায়াম করতে হবে এবং সেই সঙ্গে রাশ টানতে হবে বাড়তি খাওয়ায়। ওজন কমাতে চাইলে ময়দা, ভাজাভুজি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন। বেশি করে ফল ও জল খাওয়া দরকার।
কোনও মিল স্কিপ করবেন না, বারে বারে খান
বাড়তি ওজন কমাতে গেলে আপনাকে বারে বারে অল্প অল্প করে খেতে হবে, তাতে বাড়বে মেটাবলিক রেট। চেষ্টা করুন পেট ভর্তি রাখার, বেশি খিদে পেলেই আপনি ভুল্ভাল খাবার খাবেন।
জল খান বেশি করে
সারা দিনে অন্তত পাঁচ লিটার জল খেতেই হবে। চেষ্টা করুন খাবার খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে ও পরে জল খেয়ে নেওয়ার। তাতে পেট পরিষ্কার থাকবে, হজম ভালো হবে।
দিনের শুরুতে কোনও ফল খান
দিনের শুরুটা করুন আপেল, শসার মতো কোনও ফল দিয়ে। তাতে মেটাবলিজম বাড়ে এবং আপনার সিস্টেম অ্যালকালাইন হয়। তাতে খাবার হজম হয় তাড়াতাড়ি।
মেনে চলুন ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের নিয়ম
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের একটা খুব সহজ উপায় আছে। রাত বাড়লে খাওয়া কমিয়ে দিন। যদি রাত আটটার মধ্যে ডিনার সেরে ফেলতে পারেন, তা হলে খুব ভালো হয়। পরদিন ব্রেকফাস্ট খান সকাল আটটার পর। এই বারো ঘণ্টা খাওয়া আর বারো ঘণ্টার উপবাসের সাইকেলে শরীর অভ্যস্ত হয়ে গেলে ওজন কমবে তাড়াতাড়ি।
ভরসা রাখুব উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উপর
ওজন কমানো বা নির্দিষ্ট ওজন ধরে রাখতে চাইলে নিরামিষ ডায়েট মেনে চলতে পারেন। অন্তত কিছুদিন প্রাণিজ প্রোটিন না খেলেও কোনও অসুবিধে হবে না, উলটে শরীর ভালো থাকবে।