. গাছ কেনার আগে একটা কথা মাথায় রাখবেন – তার নিয়মিত যত্নআত্তির প্রয়োজন। স্রেফ ঘর সাজানোর উদ্দেশ্য নিয়ে কয়েকটি চারা কিনে এনে ফেলে রাখলেই তাদের দেখতে সুন্দর লাগবে না। আপনি যে যে গাছ কিনছেন, আগে সেগুলি সম্বন্ধে একটু রিসার্চ করে নিন। দেখে নিন তাদের প্রয়োজন কী, সেই মতো ব্যবস্থা করুন। নার্সারিও এ ব্যাপারে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
. অনেকের ধারণা, যে সব গাছ ঘরের ভিতর রাখা যায়, তাদের মোটেই আলো-বাতাস লাগে না। এটি সর্বৈব ভুল চিন্তা। আলো ছাড়া সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হবে। কিছু গাছের সরাসরি সূর্যের আলো প্রয়োজন, কিছু কৃত্রিম আলোতেও হয়, কিছু গাছকে মাঝে মাঝে বের করে রোদে রাখতে হয়। আপনি যে সব গাছ কিনেছেন, সেগুলি কোন গোত্রে পড়ে আগে জেনে নিন। সেই মতো আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। রাতদিন ঘর বন্ধ করে রাখলেও গাছের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে না – বাতাস চলাচল প্রয়োজন।
. মাটিতে নিয়মিত সারের জোগান অব্যাহত না রাখলে গাছ পুষ্টি পাবে না। আপনি কেমিক্যাল সার দিতে পারেন, অরগ্যানিক সার বাড়িতে বানিয়েও নেওয়া যায়। কলা বা যে কোনও সবজির খোসা ভিজিয়ে রেখে দিন চাল/ডাল ধোওয়া জলে। ২৪ ঘণ্টা পর খোসাগুলো ফেলে দিয়ে পড়ে থাকা তরলে আরও খানিকটা জল মিশিয়ে গাছে দিতে পারেন। তবে যেখান থেকে গাছ কিনছেন সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত মালির সঙ্গে একবার কথা বলে নিলে সবসেরা সারের সন্ধান মিলবে।
. গাছের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। ফাঙ্গাল ইনফেকশন, পোকামাকড়ের আক্রমণে গাছ নাজেহাল হতে পারে, অসময়ে প্রাণত্যাগ করাও বিচিত্র নয়। তেমন কিছু গোড়াতেই চোখে পড়লে আপনাকে তুরন্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। বেশিরভাগ রোগই সাধারণ ঘরোয়া টোটকায় সেরে যায় – গোড়াতেই কেমিক্যাল সার দেওয়ার কথা ভাববেন না।
. বাড়িতে কোন গাছ দেখতে ভালো লাগবে তা নিয়ে না ভেবে ভাবুন আপনার বাড়িতে কোন কোন গাছ বাঁচানো সম্ভব, কোন কোন গাছ ভালো থাকবে – সেই বুঝে পরিবারের সদস্য বাড়ান।