বর্ষাকালে কাঠ দেওয়াল থেকে, পরিবেশ থেকে আর্দ্রতা শুষে নেয়। যাঁদের বাড়িতে কাঠের দরজা, তাঁরা খুব সহজেই তা বুঝতে পারবেন – দরজা বন্ধ হতে চায় না কিছুতেই, তাই না? আপনি যদি ঠিকভাবে যত্ন নেন, তা হলে কাঠের আসবাব দেখতে সুন্দর থাকবে দীর্ঘদিন।
যে কোনও কাঠের আসবাব জানলা থেকে দূরে রাখুন, তাতে জলের ছাট পড়বে না সরাসরি। দেওয়াল ঘেঁষে রাখবেন না, কারণ দেওয়াল থেকেও আসবাব জল শুষে নিতে পারে। খুব ভালো হয় যদি শুকনো কাপড় দিয়ে বর্সার সময়ে আসবাবের ডাস্টিং করেন। অন্য সময়ে কাঠের আসবাব থেকে নাছোড় ধুলোর পরত সরানোর জন্য সাবানজলে ডুবিয়ে নেওয়া কাপড়ের সাহায্য নেওয়া যায়।
বর্ষা নামার আগে কাঠের গায়ে এক পরত ভার্নিশ লাগিয়ে নিতে পারেন, তাতে ফার্নিচার ফুলে উঠবে না। কাঠের আলমারির ভিতরে ন্যাপথালিনের বল রাখুন, তাতে ভিতরের স্যাঁতসেঁতেভাব থাকবে না, না হলে আপনার পোশাকেও গন্ধ হয়ে যাবে।
বাড়িতেই তৈরি করে নিন কাঠের পালিশ
এক কাপ আলিভ অয়েল আর ১/৪ কাপ সাদা ভিনিগার একসঙ্গে মিশিয়ে নিন৷ আসবাব ভালো করে পরিষ্কার করে নেওয়ার পর এই মিশ্রণ একটা নরম কাপড়ে ঢেলে ভালো করে মুছে নিন৷ আপনার ফার্নিচার ঝলমলে থাকবে বহুদিন৷
জলের দাগ তোলার উপায়
অসাবধানে কফির কাপ বা সফট ড্রিঙ্কের বোতল উলটে গিয়েছে কাঠের টেবিলের উপর? দাগের জায়গাটায় টুথপেস্ট লাগান (জেল হলে কিন্তু চলবে না, পেস্ট চাই)৷ তার পর একটা নরম কাপড় দিয়ে ঘষে ঘষে দাগটা তুলে ফেলুন৷ টুথপেস্টটা মোছার জন্য পরে আবার একটা আর্দ্র রুমাল বা তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে৷
কালি বা অন্য কোনও কঠিন দাগ তুলবেন কীভাবে
এক টেবিলচামচ বেকিং সোডা আর জল দিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন৷ দাগের উপর এটা লাগিয়ে নিন, খানিকক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। তার পর নরম কাপড়ে মুছে দাগটা তুলে ফেলুন৷ এইবার একটা আর্দ্র কাপড় এর উপর বুলিয়ে নিন, তার পর একটা শুকনো কাপড়ে মুছে ভেজাভাবটা শুষে নেবেন৷
চেষ্টা করুন কাঠের আসবাব পরিষ্কার রাখার। একবার ময়লা বা ধুলো চেপে বসে গেলে কিন্তু মুশকিলে পড়ে যাবেন – লোক ডেকে ডিপ ক্লিনিং করানো ছাড়া অন্য উপায় থাকবে না।