লকডাউনের পর থেকে আমাদের অনেকেরই ঘুমের সাইকেলের একেবারে বারোটা বেজে গিয়েছে! অফিস যাওয়ার তাড়া না থাকায় রাত জেগে সিনেমা বা সিরিজ দেখা দিয়ে শুরুটা হয়েছিল।
তার পর ঘেঁটে গিয়েছে সব পুরোনো নিয়ম। ঘুম না হওয়ার কিন্তু অনেক বিপদ আছে। দিনের বেশিরভাগ সময়টা ঝিমুনি আসবে, ক্লান্ত লাগবে। কাজে মন দিতে পারবেন না।
রাতে না ঘুমোলে কিন্তু শরীর শোধ তুলবে
মানুষ নিশাচর প্রাণী নয়। তাই আপনি যতই মাঝরাত পর্যন্ত জেগে দরকারি কাজকর্ম সারার অভ্যেস তৈরি করুন না কেন, তা একদিন শরীর খারাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে! বায়োলজিকাল ক্লক কার্যকর হয় সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ঝিমিয়ে পড়ার কথা। তাই বেশি রাত করে শোওয়ার অভ্যেসটা আগে পালটান। প্রতি রাতে নির্দিষ্ট সময়ে শুতে যাওয়ার অভ্যেস তৈরি করুন।
বেশি দেরি করে খাবেন না রাতে
ডিনার সারুন ঘুমের জন্য নির্ধারিত সময়ের অন্তত দু’ ঘণ্টা আগে। তার পর খানিকটা পায়চারি করলে খাবার হজম হবে তাড়াতাড়ি। অনেক সময় অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণেও ঘুমের অসুবিধে হতে পারে।
এমন কিছু জিনিস ট্রাই করুন যা ঘুম পাড়াতে পারে
সামান্য ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে হালকা উষ্ণ জলে স্নান করতে পারেন, পান করতে পারেন ক্যামোমাইল চা। খুব নিচু ভলিউমে শুনতে পারেন পছন্দের মিউজ়িক। এগুলি ঘুমের আমেজ ঘনিয়ে আনে। নির্দিষ্ট সময়ে আলো নিভিয়ে ঘুমের চেষ্টা করতেই হবে।
রাত জেগে সিনেমা দেখার অভ্যেস ছাড়ুন
বিছানায় আধশোয়া হয়ে রাতের পর রাত সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ়ের একটার পর একটা এপিয়োড দেখাটাও মানুষের নিত্যদিনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। সে সব কিছু না থাকলে আছে সোশাল মিডিয়া চেক করা বা পরিচিতদের সঙ্গে চ্যাট করার অভ্যেস। এর প্রত্যেকটিই কিন্তু আপনার ঘুমের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যে সমস্ত ডিভাইস থেকে আলো বিচ্ছুরিত হয়, তা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘণ্টা আগে থেকে।
ব্যায়াম করছেন তো?
বার বার এ কথাটা বলা হয় বটে, তবে অনেকেই শোনেন না। রোজ খানিকটা ব্যায়াম করে শরীর সচল রাখলে কিন্তু তাড়াতাড়ি ঘুম আসতে বাধ্য! তবে ঘুমোতে যাওয়ার ঠিক আগেই ব্যায়াম করবেন না।