অতিরিক্ত ব্রণ হচ্ছে মানেই আপনার শরীর জানান দিচ্ছে কোথাও একটা সমস্যা আছে। টিনএজে হরমোনের স্তরে গোলমাল হলে ব্রণর সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে তার পর কিন্তু ধীরে ধীরে তা নিয়ন্ত্রণে আসতে আরম্ভ করে। যদি তা না হয়, তা হলে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক হোন।
. বেশি করে জল খান, তাতে বাড়তি টক্সিন বেরিয়ে যাবে শরীর থেকে, ব্রণ হয়ে মুখে ফুটে উঠবে না।
. মাথায় খুশকি আছে কিনা দেখুন – গুঁড়ো খুশকি কপালে, গালে ঝরে পড়ে ব্রণর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
. কোনও কসমেটিক্স, মেকআপ বা বিউটি ট্রিটমেন্ট ব্যবহারের পর থেকে ব্রণর ব্যবহার শুরু হয়নি তো? তা হলে সেটির ব্যবহার বন্ধ করে দেখুন।
. আপনার ময়শ্চরাইজার অতিরিক্ত তৈলাক্ত নয় তো?
. খুব বেশি ভাজাভুজি বা মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করতে হবে। ফল-সবজি খান, ব্যায়াম করুন।
. ব্রণ খুঁটবেন না, তাতে মুখে গর্ত হয়ে যাবে।
. পরিষ্কার মাস্ক আর মুখ মোছার তোয়ালে ব্যবহার করুন।
. যদি ব্রণয় খুব ব্যথা আর পুঁজ হয় এবং গাল বা পিঠ একেবারে ভরে যায়, তা হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যান। অল্প সমস্যায় ঘরোয়া সমাধান ট্রাই করা যায়।
লেবু আর জল
পাতিলেবু চিপে রস বের করে নিন। এই রসে দু’চামচ জল মেশান। মিশ্রণে তুলো ভিজিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে দিন। খুব দ্রুত ব্রণ শুকিয়ে যাবে লেবুর ভিটামিন সি-এর প্রভাবে। তবে সেনসিটিভ ত্বক হলে লেবুর রস এড়িয়ে চলাই ভালো, কারণ লেবুর রস থেকে সেনসিটিভ ত্বকে জ্বালা করতে পারে। একান্তই মাখলে বেশিক্ষণ রাখবেন না, মুখ ধুয়ে ময়শ্চারাইজার আর সানস্ক্রিন লাগিয়ে নেবেন।
তুলসি আর হলুদ
কাঁচা হলুদ দু’চামচ পরিমাণ বেটে নিন। একইভাবে কুড়ি-পঁচিশটা তুলসি পাতা ভালো করে ধুয়ে বাটুন। তুলসি পাতা বাটা আর কাঁচা হলুদ বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলবেন।
মধু
নানা আয়ুর্বেদিক ওষুধে মধুর ব্যবহার প্রচলিত। নানারকম ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করতে পারে মধু। এক চাচামচ খাঁটি মধুতে অল্প তুলো ডুবিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে রেখে দিন। আধ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। দিনে বারকয়েক লাগালেই ব্রণর দাপট কমতে বাধ্য!
চন্দন
আয়ুর্বেদে প্রদাহ, ব্যথা, কাটাছেঁড়া কমাতে চন্দন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। বাড়িতে চন্দনপাটা থাকলে তাতে চন্দনকাঠ ঘষে চন্দন বের করে নিন। না থাকলে চন্দনগুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন, তবে সেটা যেন খাঁটি হয়। গোলাপজলে বা সাধারণ জলে শ্বেত চন্দনগুঁড়ো গুলে ঘন পেস্টের মতো তৈরি করে তা ব্রণর উপরে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে টান ধরলে জলে ধুয়ে ফেলুন।
নিমপাতা আর গোলাপজল
নিমপাতা খুবই ভালো অ্যান্টিসেপটিক আর গোলাপজল ত্বক স্নিগ্ধ আর সতেজ রাখে। পাতাসমেত গোটা পাঁচেক নিমের ডাল ভেঙে নিন। পাতাগুলো ধুয়ে জলে মিনিট দুয়েক ফোটান। তারপর জল থেকে পাতা তুলে মিক্সিতে বা শিলে বেটে নিন। এবার পাতা বাটায় দু’ চাচামচ পরিমাণ গোলাপজল মেশান। এই মিশ্রণটা ব্রণর উপরে লাগিয়ে শুকোতে দিন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ দ্রুত শুকোবে, ব্যথাও কমবে।