শীত আসছে গুটি গুটি পায়ে। দিনের বেলা অতটা বোঝা না গেলেও সকালে বা রাতের দিকে ঠান্ডা জলে স্নান করতে গেলেই ছ্যাঁক করে উঠছে গা। যাঁরা একটু শীতকাতুরে, তাঁরা ইতিমধ্যেই হালকা গরম জলে স্নান করতে শুরু করে দিয়েছেন। শুধু শীতেই নয়, এমনিতেও সারা দিনের ক্লান্তির পর গরম জলে স্নান করার মতো আরাম আর কিছুতে নেই! আর তার সঙ্গে যদি যোগ হয় সুগন্ধী শাওয়ার জেল বা বডি স্ক্রাবের আদর, তা হলে তো সোনায় সোহাগা! শীতের আমেজের অন্যতম আকর্ষণ হল এই গরম জলে স্নানের বিলাসিতা!
কিন্তু জানেন কি, গরম জল একদিকে যেমন আপনার শরীর থেকে ক্লান্তি দূর করে আর মন শান্ত করতে সাহায্য করে, তেমনি অন্যদিকে আপনার ত্বকের ভীষণ ক্ষতিও করে দেয়? তাই যত শীতই পড়ুক, গরম জলে স্নান করার আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন।
খুব গরম জলে স্নান করবেন না
শীতে গরম জলে স্নান পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু বেশি শীতেও খুব গরম জলে স্নান করবেন না। গরম জল ত্বক শুষ্ক করে দেয়, ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি করে, তেমনি রোজ গরম জলে স্নান করলে ত্বকে অকালে বয়সের দাগ পড়তে পারে। স্নানের জন্য বেছে নিন ঈষৎ গরম জল। আর একটানা ১০ মিনিটের বেশি গরম জলে স্নান করবেন না।
ত্বকের অনুপযুক্ত সাবান মাখবেন না
গরম জলে স্নান করলে এমনিতেই ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, তার ওপর ত্বকের সঙ্গে বেমানান সাবান মাখলে আপনার সমস্যা আরও বাড়বে। সাবান কেনার সময় ত্বকের ধরনের কথা মাথায় রাখুন।
যাঁদের ত্বক শুষ্ক প্রকৃতির, তাঁরা ক্রিম-বেসড সাবান বা গ্লিসারিন সাবান ব্যবহার করুন। যাঁদের ত্বক তেলতেলে, তাঁরা বেছে নিন হালকা জেল-বেসড সাবান। খুব সুগন্ধি বডিওয়াশ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো, কারণ এই ধরনের বডিওয়াশে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, জ্বালা বা চুলকানিও হতে পারে।
জোরে গা ঘষবেন না
অনেকেই স্নানের সময় লুফা দিয়ে জোরে জোরে গা ঘষেন। এতে ত্বক আলাদা করে পরিষ্কার তো হয়ই না, উলটে এপিডার্মিসে জ্বালা, লালচেভাব, প্রদাহ দেখা দিতে পারে। লুফা বা হালকা ওয়াশক্লথ দিয়ে কোমলভাবে বৃত্তাকারে মাসাজ করুন, ত্বক তাতেই পরিষ্কার থাকবে।
বাদ দেবেন না ময়শ্চারাইজার
শীতের দিনে ময়শ্চারাইজার অপরিহার্য। গরম জলে স্নান করার পর ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে অল্প ভেজা গায়েই ময়শ্চারাইজার মেখে নিন।
ভেজা ত্বকে ময়শ্চারাইজার মেখে নিলে আর্দ্রতা ত্বকের গভীরে আটকে থাকে, ত্বকের শুকনো ভাব কম হয়।।
পরিষ্কার রাখুন স্নানের সরঞ্জাম
স্নান করার সময় যে সব লুফা বা পিউমিস স্টোনের মতো সরঞ্জাম আপনি ব্যবহার করেন, সে সব নিয়মিত পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে রাখতে হবে। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে যা থেকে ত্বকে সংক্রমণ হওয়া খুব স্বাভাবিক। তাই নিয়মিত এ সব সরঞ্জাম পরিষ্কার রাখুন, আর নির্দিষ্ট সময় পর পর পালটে ফেলুন।