বর্ষার ভ্যাপসা গরমে পোকামাকড়ের জ্বালায় টেকা মুশকিল হয়। সারাক্ষণ কয়েল বা রাসায়নিক রেপেলেন্ট জ্বালিয়ে রাখলে অনেকের শ্বাসকষ্ট বাড়ে – তাই এমন একটা উপায় অবলম্বন করুন যা ১০০ শতাংশ প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর – জানলার পাটায় গাছ লাগান! জেনে নিন কোন কোন গাছ পোকা তাড়াতে এক্সপার্ট।
১. গাঁদা
হ্যাঁ, আমরা জানি, গাঁদাফুলের সময় নয় এটা। কিন্তু মশা-মাছি তাড়াতে ফুল আপনার লাগবেও না। গাঁদার পাতায় এমন একটা গন্ধ থাকে, যা পোকামাকড়রা একেবারেই পছন্দ করে না। যদি ঠিক ঠিক যত্ন করেন আর মাটিতে প্রয়োজনীয় উপাদান মেশানো থাকে, তা হলে আকারে ছোটো হলেও কিছু ফুল পেতে পারেন – তাই আর দেরি না করে এখনই স্থানীয় নার্সারি থেকে গাঁদা গাছ কিনে নিয়ে আসুন। জানলায় রাখলে পোকামাকড় ঢুকবেই না।
২. তুলসী
সুইট বেসিল, লেমন বেসিল বা আমাদের চেনা তুলসী, জানলায় যে কোনও একটা রাখলেই হবে – কোনও পতঙ্গই তুলসী পাতা বা বীজের গন্ধ পছন্দ করে না।
৩. লেমনগ্রাস
বিভিন্ন থাই রান্নায় লেমনগ্রাস দেওয়ার চল আছে, অনেক দাম দিয়ে তা সুপারমার্কেট থেকে কিনতে হয়। কিন্তু বাড়িতে খুব সহজেই আপনি লেমনগ্রাস ফলাতে পারবেন, তা জানেন? গরম, ভ্যাপসা আবহাওয়াতেও লেমনগ্রাস সুন্দর বাড়ে – এর মধ্যে উপস্থিত সিট্রোনেলা এসেনশিয়াল অয়েলের গন্ধ খুব চড়া এবং তা মশা ঠেকাতে দারুণ কার্যকর। জলে লেমনগ্রাস ফুটিয়ে সেটা স্প্রে করে চারদিকে ছড়িয়ে দিলেও মশা আপনাকে বিব্রত করবে না। বাচ্চার গায়েও লেমনগ্রাস ফোটানো জল লাগিয়ে দিতে পারেন – তাতে মোটেই মশা ঘেঁষবে না।
৪. পুদিনা
যেদিকের জানলায় রোদ আসে, সেদিকে একটা পুদিনার চারা রেখে দিন। তা আপনার রান্নার কাজেও লাগবে, শরবত বানানোর সময়েও দুটো ছিঁড়ে দিতে পারবেন, আবার মশা-মাছি ভুলেও কাছে ঘেঁষবে না। তবে পুদিনার গাছ বড়ো করার জন্য এমন মাটি তৈরি করতে হবে যা জল ধরে রাখতে পারে – এটুকু খেয়াল রাখলেই আর চিন্তা নেই।
৫. সিট্রোনেলা
সিট্রোনেলাও দেখতে লেমনগ্রাসের মতোই। বেশিরভাগ রেপেলেন্টেই সিট্রোনেলা নির্যাস ব্যবহার করা হয়। সিট্রোনেলা সর্বত্র খুব সহজেই গজায়। তবে চড়া রোদের আলোয় রাখবেন না – বাড়ির এমন কোনও কোণে রাখুন যেখানে সূর্যের আলো ফিল্টারড হয়ে আসে।