আজকাল অন্দরসজ্জার ক্ষেত্রে নানা ধরনের চিন্তাভাবনা কাজ করে মানুষের মনে – তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ কতগুলো পরিবর্তন এসেছে। যেমন, দেওয়ালে সব সময়ে যে রং করাতেই হবে, এ নিয়ম মেনে অনেকেই চলছেন না, তাঁরা শোবার বা বসার ঘরেও টাইলস লাগাচ্ছেন। একটা সময়ে মনে করা হত কেবল বাথরুম বা রান্নাঘরেই বুঝি টাইলস লাগানো সম্ভব। এখন সেই ধারণা আঁকড়ে কেউই বসে থাকছেন না। একটা দেওয়ালে টাইল লাগিয়ে সেটিকেই বিশেষভাবে আকর্ষক করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে।
টাইলসের দাম কম, কাজ হয়ে যায় চটপট, বেশ অনেকদিন দেখতে ভালো থাকে। তবে ফ্লোরিং টাইলসের ওজন অনেক বেশি – তা কিন্তু দেওয়ালে লাগানো যায় না। আপনাকে বিশেষ ওয়াল টাইলসই কিনতে হবে। রঙের কাজ করতে যতটা সময় লাগার কথা, টাইলস বসাতে তার চাইতে কম সময়ই লাগবে।
অনেক সময়ে দেখা যায় যে, বাড়ির একটা বিশেষ দেওয়ালে হয়তো বার বার ড্যাম্প লাগছে – ড্যাম্প প্রুফিং করিয়েও লাভ হচ্ছে না বিশেষ। সেক্ষেত্রে আপনি কোনও ইন্টিরিয়ার বিশেষজ্ঞকে দিয়ে একবার দেখিয়ে নিয়ে দেওয়ালে টাইলস বসিয়ে নিতে পারেন। ব্রিদেবল মেটিরিয়ালে তৈরি টাইলস বসালে দেওয়াল বেশিদিন ভালো থাকবে। তবে আগে দেওয়ালে কেন বার বার ড্যাম্প হচ্ছে, ঢালের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা আছে কিনা সে সব খতিয়ে দেখে নিতে হবে। সে সমস্যা সারিয়ে তার পর টাইলস লাগানো উচিত।
নানা ধরনের টাইলস পাবেন বাজারে – ম্যাট, চকচকে, মোজেইক, সেরামিক। অন্দরসজ্জার সঙ্গে যেটি সবচেয়ে মানানসই তেমন কিছু বেছে নিন। তবে খেয়াল রাখবেন, খুব চকচকে টাইলস লাগালে কিন্তু ঘর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়ে যাবে। সেই বুঝে বাকি ব্যবস্থা করুন।
টাইলস পরিষ্কার করা খুব সোজা। অনেক সময় বাড়ির বাচ্চারা দেওয়ালে ছবি আঁকে, রং করে – সেটা দেখতে খারাপ লাগে। দেওয়ালে টাইলস বসানো থাকলে সে সব সমস্যা থাকে না। ভালো করে মুছে নিলেই আপনার দেওয়াল ফের চকচক করবে।
খেয়াল রাখবেন, বড়ো ঘরে লার্জ ফরম্যাট টাইলস লাগালে ঘরটা আরও বড়ো দেখায়। ছোটো ঘরের ক্ষেত্রে লাগানো উচিত মিডিয়াম ফরম্যাট টাইলস। তবে ফাইনাল ডিজাইন প্যাটার্ন বেছে নেওয়ার আগে অবশ্যই কোনও ভালো আর্কিটেক্ট বা ইন্টিরিয়ার ডেকোরেটরের শরণাপন্ন হোন।