বাড়িতেই এখন আমরা দিনের বেশিরভাগ সময়টা কাটাই, তাই না? তাই নিজের সাজসজ্জা নিয়ে না ভেবে বাড়ির অন্দরসাজের দিকে একবার চোখ ফেরান। ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন আনলে আপনার বাড়িটা হয়ে উঠবে দারুণ সুন্দর, আর সেই সঙ্গে ভালো থাকবে মুড।
এ কথা তো মনোবিদরাও বলেন যে রঙের প্রভাবে মানুষের অনেক মন খারাপ সেরে যায়। বর্ষার গোমড়ামুখ আকাশ পরিষ্কার হয়ে যেদিন সোনালিরঙা রোদ ওঠে বা শীতের ধূসর দিন জয় করে যখন গাছের ডালে ডালে দেখা দেয় কচি সবুজ পাতা, তখন আনন্দ হ না? বলুন?
ঘরে কোন ধরনের রং ব্যবহার করলে তা আপনার মুডের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে জানতে চান?
শান্ত, সমাহিত ভাইব আনবে ল্যাভেন্ডার
যে ঘরে আপনি লেখাপড়া করেন বা মেডিটেট করেন, সেখানে ল্যাভেন্ডার বা লাইল্যাকের হালকা কোনও শেড ব্যবহার করুন। যদি মনে হয় এখনই পুরো ঘরের রং বদলে ফেলার সামর্থ্য নেই, তা হলে পর্দা বা চেয়ারের কভারে বদল আনুন। সেটাও সম্ভব না হলে কিছু ল্যাভেন্ডার কালারের কুশন কভার কিনে ফেলুন। ঘরের বসার জায়গায় সাদা কভার পাতুন, ছড়িয়ে দিন ল্যাভেন্ডার শেডের কুশন কভার। সঙ্গে রাখুন কয়েকটা স্নেক প্লান্ট, গোল্ডেন মানিপ্ল্যান্ট বা ব্রোকেন হার্ট গাছ। দেখুন, ঘরের লুক কীভাবে পালটে যায়!
যদি ঝলমলে প্রাণপ্রাচুর্য চান, তা হলে বন্ধুত্ব করুন হলুদের সঙ্গে
উজ্জ্বল হলুদ, হালকা হলুদ, সোনালি – এই প্রতিটি রংই সূর্যের আলোর কথা মনে করায়। আপনার যে ঘরে রোদ তেমন ঢোকে না, সকালবেলাতেও একটা ম্রিয়মাণ ভাব থাকে, সেখানে হলুদের নানা শেড ব্যবহার করে দেখতে পারেন। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখবেন, অন্দরসাজে আলোর ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে হলুদের মতো রঙে ভুল আলো পড়লে কিন্তু ঘর বেশি অন্ধকার হয়ে যেতে পারে।
হ্যাঁ, ঘরে আপনি লাল রংও লাগাতে পারেন
একদম নিশ্চিন্তে লাল রং লাগান, বিশেষ করে যে ঘরে প্রাকৃতিক আলো আসে প্রচুর পরিমাণে। সেই সঙ্গে ক্লাসিক ডিজাইনের অন্দরসাজের উপকরণ ব্যবহার করুন। রিলিফ আনার জন্য গাছ রাখুন – টবগুলি যদি পিতল বা কাঁসার পুরোনো বাসনের মধ্যে রাখেন, তা হলে দেখতেও খুব সুন্দর লাগবে।
মন খারাপ ভালো করে দিতে পারে নীল রং
হালকা বা গাঢ় – দু’ ধরনের নীল রংই ব্যবহার করা যায় অন্দরসজ্জায়। তবে যে ঘরে বা দেওয়ালে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পড়ে সেখানেই গাঢ় শেডের নীল রং লাগানো উচিত। একটা দেওয়ালে নীল রং লাগালেও দেখতে ভালো লাগে। সঙ্গে ব্যবহার করুন ক্রিম বা বেজ শেডের বিছানার চাদর, পর্দা, বালিশের ঢাকনা।