এখন আমাদের সবার দিনের বেশিরভাগ সময়টাই বাড়িতে কাটছে, তাই অন্দরমহলকে সুন্দর রাখার একটা চেষ্টা আমরা সবাই কম-বেশি করছি। রাতারাতি কারও বাগান সুন্দর হয় না, লেগে থাকার মতো মানসিকতা চাই। সেই সঙ্গে কয়েকটি জরুরি বিষয় মাথাও রাখাও একান্ত জরুরি।
ইন্ডোর প্লান্ট বলে কিছু নেই
চমকাবেন না, কথাটা খুব সত্যি। কিছু গাছ থাকে, যেগুলি কম আলোতেও বাঁচতে পারে, কারণ কৃত্রিম আলোতেও কাজ চালানোর মতো সালোকসংশ্লেষ করতে পারে তারা। তাই বলে এই নয় যে কখনওই তাদের রোদ লাগবে না। সুবিধেমতো দিন দশেক পর পর এই ধরনের গাছ রোদ্দুরে দিন।
অতিরিক্ত জলে গাছ মরে যায়
কম জল দিলে যেমন গাছের বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনই বেশি জল দিলে গাছ মরে যেতে পারে। ঠিক কতটা জল দেওয়া উচিত, সে সম্পর্কে কোনও ধারণা না থাকলে যাঁর কাছ থেকে গাছ কিনেছেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলুন একবার।
পর্যাপ্ত পুষ্টির ব্যবস্থা করুন
স্রেফ রাখতে হয় বলেই গাছ রাখবেন না, তার নিয়মিত যত্নের ব্যবস্থাও করতে হবে। মাসে এক-আধবার গাছকে খাবার জোগালেই হবে না। নিয়ম করে সার দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। গাছ মুছতে হবে যত্ন নিয়ে, শুকনো পাতা ছিঁড়ে রাখুন।
যেখানে গাছ লাগাবেন ঠিক করেছেন, সেখানে কতটা আলো আছে?
যে জায়গাটায় আপনি গাছ করার কথা ভেবে রেখেছেন, সেখানে কতটা আলো পৌঁছয়? কতক্ষণ থাকে? ফলের গাছ করতে গেলে কিন্তু অন্ততপক্ষে ৬-১০ ঘণ্টা আলো লাগা প্রয়োজন। খুব ভালো হয় বাগান করার অভিজ্ঞতা আছে এমন কাউকে জায়গাটা একবার দেখিয়ে পরামর্শ নিতে পারলে। একান্ত তা সম্ভব না হলে যে নার্সারি থেকে গাছ কিনবেন বলে ভেবে রেখেছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলুন।
মাটি বাছুন গাছ অনুযায়ী
যে ধরনের গাছ করার কথা ভেবে রেখেছেন, তার প্রকৃতি অনুযায়ী মাটি বাছতে হবে। যেখান-সেখান থেকে মাটি জোগাড় করলে কিন্তু পরে পস্তাতে হবে। নার্সারির সঙ্গে পরামর্শ করে তবে মাটি কিনুন। তবে দোয়াঁশ মাটিতে সাধারণত স্থানীয় সব গাছই ভালো হয়।
বীজ কিনবেন, না ছোটো গাছ?
নির্ভর করছে আপনি কী ধরনের বাগান করার স্বপ্ন দেখছেন তার উপর। যাঁরা খুব কম জায়গায় শুরু করতে চলেছেন, তাঁদের পক্ষে ছোটো গাছ কেনাই সবচেয়ে ভালো। তাড়াতাড়ি বাগান তৈরি হয়ে যাবে।
বিশেষ পরামর্শ: গাছে দেওয়ার পর বাড়তি জল বেরিয়ে যাচ্ছে তো ঠিকভাবে? বারান্দায় বা ছাতে জমতে আরম্ভ করলে কিন্তু মুশকিলে পড়বেন।