চুল লম্বা হলে তা খুলে রাখতে ভালো তো লাগেই, কিন্তু জট পড়ার ভয়ে ক’জনই বা সেই ঝুঁকি নেন? জানেন কি, চুলে জট পড়ে কেন? যদি চুল রুক্ষ হয়ে যায়, তা হলে জট পড়ে এ তো সহজ উত্তর। খুব লম্বা আর পাতলা চুলেও জট পড়ার আশঙ্কা থাকে। অনেকেই কাজের চাপে চুলে নিয়মিত চিরুনি দেন না, কোনও রকমে মাথার উপরে জড়িয়ে রাখেন – এ সমস্যা তাঁদেরও হতে পারে। কোঁকড়া আর ঘন চুলেও কিন্তু জট পড়তে পারে।
এই সমস্যার সবচেয়ে সহজ সমাধান হল, চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখা। তার জন্য সুষম খাবার খাওয়া জরুরি, বার বার যাঁরা চুলে রং করান বা হিট স্টাইলিংয়ের অভ্যেস আছে, তাঁরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হিট প্রোটেকশনের ব্যবস্থা করুন। তা না হলে চুলের জট পড়া ঠেকানো সম্ভব নয়।
কন্ডিশনার ব্যবহার করার উপর গুরুত্ব দিন
শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতেই হবে – এ ছাড়া কোনও রাস্তা নেই। কন্ডিশনার লাগানোর পর পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে তার পর চুল ধুয়ে নিন। এর ফলে আপনার চুল আর্দ্র থাকবে।
হেয়ার মাস্ক বজায় রাখে চুলের মসৃণতা
সপ্তাহে একবার ভালো কোনও হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। যাঁরা বোতলবন্দি প্রডাক্ট ব্যবহারের বিরোধী, তাঁরা নারকেল তেল আর অ্যালো ভেরা জেল দিয়ে প্রাকৃতিক মাস্ক বানিয়ে নিন। ডিম আর দই দিয়েও খুব ভালো মাস্ক তৈরি করে নেওয়া যায়, তার সঙ্গে খানিক মধু মিশিয়ে নিতে পারলে তো কথাই নেই!
সরু দাঁড়ার চিরুনি ব্যবহার করবেন না
মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন, তাতে জট ছাড়বে তাড়াতাড়ি। চুল ছিঁড়বে বা ভাঙবে কম। হেয়ার ব্রাশ দেখতে ভালো লাগে, কিন্তু চুলের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে মোটা দাঁড়ার চিরুনি। তবে ভিজে চুল নয়া আঁচড়ানোই ভালো। ভিজে অবস্থায় চুলের গোড়া দুর্বল থাকে, তা ভাঙে বেশি।
দূরে থাকুন হিট স্টাইলিং থেকে
হিট স্টাইলিং করলে চুল দেখতে হয়তো ভালো লাগে, কিন্তু তার স্বাস্থ্যহানি হয়। সম্ভব হলে চুলের প্রাকৃতিক বাড়বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবেন নয়া। তাতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখাটা সহজ হয়।
রাতে চুল খুলে রেখে শোবেন না
অনেকেই রাতে চুল খুলে রেখে শুয়ে পড়েন। এমনিতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে তাতে অসুবিধে বিশেষ হয় না। কিন্তু রুক্ষ চুলে অবশ্যই জট পড়ে। তাই চুল মাথার উপর তুলে হালকা কোনও ব্যান্ড দিয়ে জড়িয়ে বেঁধে রাখুন।
ফোটো: ইনস্টাগ্রাম