গরমকালে বিদ্যুতের খরচ এমনিতেই বেড়ে যায়, এবার তো আবহাওয়ার কারণেই তা আরও চড়বে। যাঁদের এসি আছে, তাঁরা সর্বক্ষণ চালাচ্ছেন, না হলেও পাখা ঘুরছে বনবন। জলের জোগান বাড়াতে পাম্পও চালানো হয় বেশি, তার উপর এখনও অনেকেই বাড়িতে থেকে কাজকর্ম করছেন – গ্যাসের খরচ কমাতে বেড়েছে ইন্ডাকশন ওভেনের ব্যবহার। ফলে ইলেকট্রিসিটি বিল চড়ছে চড়চড়িয়ে।
. এই খরচটা কমাতে চাইলে প্রথমে আপনাকে বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করতে হবে। অনেকের অভ্যেস আছে ল্যাপটপ সর্বক্ষণ চার্জারে গুঁজে রেখে কাজ করা, কেউ কেউ টিভি-এসি সবই রিমোট টিপে বন্ধ করেন, সুইচ যেমনকার তেমন অন পড়ে থাকে, মোবাইল চার্জ হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা – এই অভ্যেস সচেতনভাবে পালটাতে হবে। কাজ হয়ে গেলে চার্জার প্লাগ পয়েন্ট থেকে খুলে রাখুন।
. টাস্ক লাইটিং ব্যবহার করুন। মানে, বাচ্চা যে টেবিলে পড়ে, সেখানে একটা রিডিং লাইট লাগিয়ে দিন। তাতে বিদ্যুৎ কম পুড়বে। যখন যে ঘর থেকে বেরোচ্ছেন, সেখানকার আলো-পাখা বন্ধ করে বেরোন। মাঝে মাঝে আলো ও পাখা মুছে দিন, ধুলো জমলে আলো-হাওয়া দুই-ই কমবে।
. এসির টেম্পারেচার ২৫-এর চাইতে বেশি কমাবেন না, তাতে বিদ্যুৎ খরচ বাড়বে। খরচ একটু বেশি পড়লেও পুরোনো এসি বেচে নতুন বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এসি লাগানো বুদ্ধিমানের কাজ। তাতে নিশ্চিতভাবেই বিল কম আসবে।
. যে সব জানলা দিয়ে বেশি রোদ আসে, সেখানে গাছ লাগান। বোগেনভিলিয়ার মতো গাছ চড়া রোদে ভালো হয়, ঘরে তাপও কম ঢুকবে।
. বার বার ফ্রিজ খুলবেন না, গরম খাবার ফ্রিজে ঢোকাবেন না। ফ্রিজের কয়েল আর ফ্রিজার ডিফ্রস্ট করুন নিয়ম করে – তাতে বিদ্যুতের খরচ কমবে।
. প্লাগ পয়েন্টে চার্জ করার সময়েই চার্জার লাগান – অনেকেই চার্জার লাগিয়ে সুইচ অন করে রেখে দেন, কিন্তু ডিভাইস খুলে নিয়ে অন্যত্র চলে যান। এতে কেবল বিদ্যুতের অপচয়ই হয়।
. ফ্লুরোসেন্ট টিউব লাইট আর এলইডি ব্যবহার করুন। অনেকেই বাড়ির সিঁড়ি বা ল্যান্ডিংয়ে বাল্ব লাগিয়ে রাখেন, তাতে কিন্তু বিদ্যুতের খরচ বেশি হয়।
. আজকাল বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রোডাক্টের জন্য বিশেষ রেটিংয়ের ব্যবস্থা হয়েছে – চেষ্টা করুন সর্বাধিক (সাধারণত ৫ স্টার) রেটিংপ্রাপ্ত গ্যাজেট কেনার।