ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, ডেটিং অ্যাপ সর্বত্র ফেক প্রোফাইলের ছড়াছড়ি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ধরনের নকল পরিচয়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকে জালিয়াতরা – কখনও কখনও ইচ্ছাকৃতভাবে কারও চরিত্রহনন করা হয় ট্রোল করে। তবে যদি একটু মন দিয়ে প্রোফাইলগুলোকে লক্ষ করে দেখেন, তা হলে নিজেই বুঝবেন সেগুলি নকল। কোন কোন লক্ষণ দেখে সতর্ক হবেন জানেন?
১. প্রোফাইল পিকচার
অধিকাংশ ফেক প্রোফাইলেই দেখবেন হয় কোনও মডেল বা অভিনেতার ছবি, না হলে ফুল-পাখি-প্রকৃতি, অথবা শিল্যুয়েটের ছড়াছড়ি। মানুষটার গ্যালারিতেও এমন কোনও ছবি থাকবে না যা থেকে তার সম্বন্ধে বিশদ জানতে পারেন।
২. ইউজারনেম
ফেক প্রোফাইলের ইউজারনেমও সন্দেহজনক হবে। কোনও সত্যিকারের নাম থাকবে না, অনেক সময় নম্বর দিয়েও প্রোফাইল তৈরি হতে পারে।
৩. বায়ো
বায়ো হচ্ছে এমন একটা জায়গা যেখানে ছোট্ট করে নিজের পরিচয় লিখতে হবে। ফেক প্রোফাইলের বায়ো পড়ে তার অর্থ বা উদ্দেশ্য, কোনওটাই বুঝতে পারবেন না। এদের বায়োতে সন্দেহজনক লিঙ্কও থাকতে পারে।
৪. প্রোফাইল কনটেন্ট
ফেক প্রোফাইল থেকে সাধারণত কোনও বিশেষ ধরনের কনটেন্ট শেয়ার বা প্রোমোট করা হয়, কিন্তু কোনও ইন্টারঅ্যাকশন হতে দেখবেন না কখনও। যদি দেখেন কোনও বন্ধু, পরিবারের কেউ বা বিখ্যাত কোনও মানুষের বকলমে এই ধরনের প্রোফাইল থেকে টাকাপয়সা চাওয়া হচ্ছে, তৎক্ষণাৎ সেটি রিপোর্ট করুন।
৫. বিখ্যাত ব্যক্তির নামে নন-ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট
সেলেব্রিটিরা খুব ভালোই জানেন যে তাঁদের নাম করে এক শ্রেণির জালিয়াত সোশাল মিডিয়ায় ব্যবসা ফেঁদে বসেছে, তাই তাঁরা অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করিয়ে নেন, নামের পাশে নীল রঙের একটি টিক চিহ্ন থাকলে বুঝতে হবে অ্যাকাউন্টটি আসল। ব্লু টিক ছাড়া কোনও সেলেব অ্যাকাউন্ট থাকলেও সেটি সম্ভবত জাল।
৬. স্পর্শকাতর বিষয়ে লাগাতার মেসেজ পাচ্ছেন?
এই ধরনের কোনও অ্যাকাউন্ট থেকে লাগাতার কোনও স্পর্শকাতর রাজনৈতিক বা ধর্মীয় বিষয়ে মেসেজ পেলে সাবধান, এগুলির পিছনে সাধারণত কোনও অসদুদ্দেশ্য কাজ করে। কোনও ফাঁদে পা দেবেন না, নিজের বিচারবুদ্ধির উপর আস্থা রাখুন ও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ধরনের অ্যাকাউন্ট রিপোর্ট করুন।
৭. আলাপচারিতা
সোশাল মিডিয়ায় মানুষ অন্যদের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলে, চিন্তার আদানপ্রদান হয়। ফেক প্রোফাইল থেকে তেমন আলাপচারিতা বিশেষ দেখতে পাবেন না।