নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে পুরোনো ডিভাইসটা বিক্রি করে দেওয়ার কথা ভাবছেন? ভাবনাটা ভালোই – এই বাজারে কিছু পয়সা বাঁচাতে পারলে কার না ভালো লাগবে? কিন্তু বিক্রির আগে কয়েকটা একান্ত জরুরি নিয়ম মেনে চলুন। ল্যাপটপে কোনও ব্যক্তিগত তথ্য থেকে গেলে আপনিই বিপদে পড়বেন!
. প্রথমত, ল্যাপটপটা একেবারে রানিং কন্ডিশনে রাখুন। চার্জার, মাউস, ইউএসবি পোর্ট, ব্যাটারি, অ্যাডাপ্টর এসব যিনি কিনবেন, তাঁরও কাজে লাগবে। তা ছাড়া ল্যাপটপ খুব ভালো করে পরিষ্কার করে রাখতে হবে – কি বোর্ড, স্ক্রিন নিয়ম মেনে সাফ করে রাখুন – তবেই ভালো দাম মিলবে।
. ল্যাপটপ বিক্রি করার আগে আপনার সব ফাইলের ব্যাক আপ নিয়ে রাখুন। অনেকদিনের পুরোনো ল্যাপটপ হলে তাতে নিশ্চিতভাবেই অনেক বেশি তথ্য জমা থাকবে – দরকারে এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভের সাহায্য নিয়ে তাতে সব তুলে রাখুন।
. ব্যাকআপ পুরো তোলা হয়ে গিয়েছে? সেক্ষেত্রে আপনি একবার পড়ে থাকা সমস্ত ছবি, ভিডিও, আইনি বা আর্থিক তথ্য ধরে ধরে মুছে দিন। না, স্রেফ ফরম্যাটিং করলেই হবে না, ধরে ধরে এই ধরনের সব তথ্য মুছে দিতে হবে। অনেক ডেটা রিকভারি সফটওয়্যার আছে যার সাহায্যে ফরম্যাট করা তথ্য ফের উদ্ধার করে ফেলা যায়। তাই কোনও রিস্ক নেবেন না, দরকারে ফাইল ইরেজার সফটওয়্যার ব্যবহার করে সমস্ত কিছু মুছে দিন। হার্ড ড্রাইভে আর কিছু নেই, এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তবেই কম্পিউটার বিক্রি করা উচিত।
. কিন্ডল, স্পটিফাই, বাংলা হরফ লেখার কোনও অ্যাপ ব্যবহার করেন ল্যাপটপ থেকে? তা হলে বিক্রির আগে সেগুলিকে ডি-অথরাইজ করে দিন। যদি কারও আই-ফোন থেকে থাকে এবং আই-টিউনে নানা ফাইল সঞ্চিত থাকে, তা হলে সেগুলিকেও ডি-অথরাইজ করে দেওয়া উচিত। কোনও পাসওয়ার্ড সেভ করা থাকলে সেটা আনসেভ করুন।
. অপারেটিং সিস্টেম আন-ইনস্টল করে ফের ইনস্টল করুন। অপারেটিং সিস্টেমের ডিস্কগুলো সঙ্গে আছে তো? তা হলে কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। একবার আন-ইনস্টল করে সিস্টেম রি-বুট করতে হবে। তখন ওস ডিস্ক থেকেই বুটিং করুন। তারপর একটা সহজ নাম, পাসওয়ার্ড দিয়ে ইউজার আইডি তৈরি করে দেবেন এবং সেই সংক্রান্ত বিশদ তথ্য ক্রেতাকে জানিয়ে দিন। ক্রেতা সুবিধেমতো নতুন লগ-ইন তৈরি করে নেবেন।