প্রশ্নটা খুব জটিল। নিঃসন্দেহে। দু’জন মানুষ, যাঁদের আপাতভাবে দেখে মনে হচ্ছে না কোনও সমস্যা আছে – তাঁদের মধ্যেও ধীরে ধীরে ঘনিয়ে ওঠে দূরত্ব। দক্ষিণী অভিনেতা ও জনপ্রিয় জুটি চৈতন্য ও সামান্থার বিয়ে ভেঙে যাওয়ার খবরে এ প্রশ্ন ফের নতুন করে উঠে এসেছে অনেকের মনে।
এখানে আরও একটা কথা বলে রাখা জরুরি – আমরা মোটেই মনে করি না যে সেলেব্রিটিদের ব্যক্তিজীবন নিয়ে কাটাছেঁড়া করার অধিকার আমাদের কারও আছে। আমরা ঠিক কোন কারণে অভিনেতা নাগার্জুনের ছেলে চৈতন্য ও ‘মক্ষী’ সিনেমা ও ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ সিরিজের সূত্রে সারা ভারতে জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থার বিবাহবিচ্ছেদ হল, সেই কাদা ঘাঁটতেও রাজি নয়।
তাঁরা দু’জন সমাজমাধ্যমে যৌথ বিবৃতি দিয়ে আলাদা হয়ে যাওয়ার ঘোষণা প্রকাশ্যে এনেছেন কোনও তিক্ততা ছাড়াই, তাঁদের এ সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান জানাই। তা-ও আলোচনায় সেলেব দম্পতিকে আনার কারণ একটাই – এঁরা বহুল পরিচিত এবং সমাজমাধ্যমে এঁদের সুখি দাম্পত্যের অনেকটাই ধরা থাকে। তাতেও কিন্তু বোঝা যায়নি যে সম্পর্ক টলমলে হয়ে পড়েছে।
. স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই যদি নিজের নিজের পেশায় খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েন এবং বাড়ি থেকে অনেকটা সময় বাইরে কাটান, তা হলে সম্পর্ক আলগা হয়ে পড়তে পারে। দূরত্ব কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই ভালো নয়। কেরিয়ারে সফল হওয়ার তীব্র ইচ্ছে যেন নিকটজনের সঙ্গে দূরত্ব না বাড়ায় সেটা দেখতে হবে। শারীরিক দূরত্ব এড়াতে না পারলেও মানসিক দূরত্ব যাতে না বাড়ে সেটা দেখতে হবে।
. অনেক সময়ে এই দূরত্বের কারণেই সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি ঢুকে পড়তে পারেন। চে-স্যাম জুটির বিচ্ছেদের পর যেমন অনেকেই ঠারে ঠোরে আঙুল তুলছেন আমির খানের দিকে। আমিরের লাল সিং চাড্ডায় অভিনয় করেছেন চৈতন্য, আউটডোর শুটে দীর্ঘ সময় তাঁরা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। আমিরকে অনেকেই বলিউডের ডিভোর্স স্পেশালিস্ট বলেন — বিয়ে আর ডিভোর্স সম্পর্কে তাঁর অতি ক্যাজুয়াল অ্যাটিটিউড নাকি অনেক জুনিয়ার অভিনেতাকে প্রভাবিত করেছে বলে মনে করা হয়।
. মনে রাখবেন, সব মানুষেরই কোনও না কোনও দোষ থাকে এবং আপনারও আছে। তাই সারাক্ষণ আপনার বিবাহিত পার্টনারের ভুলগুলি নিয়ে না ভেবে আপনারা দু’জনেই কীভাবে ভালো থাকবেন সেদিক মন দিন।
. সোশাল মিডিয়ায় নিজেদের পারফেক্ট দাম্পত্যের বিজ্ঞাপন তুলে ধরাটাই গুরুত্বপূর্ণ নয়। ভালোভাবে প্রতিটি দিন উপভোগ করার উপরে বেশি জোর দিন।
. যদি মনে হয় যে কোনওভাবেই অ্যাডজাস্ট করতে পারছেন না, তা হলে ডিভোর্সের দিকেই হাঁটতে হবে। কিন্তু তার আগে ভালো করে ভেবে নিন। সমাজ কী বলবে, তা ভেবে মাথা গুঁজে কোনও সম্পর্কে আটকে থাকার চেষ্টা করাটাও কিন্তু বোকামি।
https://www.instagram.com/p/BvV6jfaB43y/
ফোটো: ইনস্টাগ্রাম