মানুষ নানাধরনের হয় এবং বহু জটিলতা নিয়েই সমাজে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এ ব্যাপারে নারী-পুরুষে আলাদা করে কোনও ভেদাভেদ হয়ও না। খবরের কাগজে চোখ রাখলেই দেখা যায় একের পর নৃশংস ঘটনা – কোথাও প্রেম ভাঙার পর ব্যর্থ প্রেমিকের হাতে খুব হয়েছে প্রেমিকা। কখনও বা বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে প্রেমিকের জীবন বরবাদ করে দিয়েছে একদা ভালোবাসার বাঁধনে আবদ্ধ নারী।
কিন্তু তাই বলে তো আর অনিচ্ছা নিয়ে প্রেম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না – তাতে সমস্যা বাড়বে। সম্পর্কে কিছু কিছু ঘটনা বার বার ঘটতে আরম্ভ করলেই সাবধান হওয়া উচিত – আপনার আশপাশে যাঁরা থাকেন, তাঁদের জানান অসুবিধেগুলো। যদি মনে করেন মান-সম্মান নিয়ে টানাটানি হবে, তাই মুখ বুজে সয়ে যাওয়াই ভালো – তা হলে স্রেফ আপনি নিজেই কষ্ট পাবেন!
সুস্থ, স্বাভাবিক সম্পর্কে কোন কোন সমস্যা হওয়া উচিত নয়?
. একেবারে প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হল শান্তি, আনন্দ, খুশির অভাব। আপনি ও আপনার পার্টনার যদি একটা টিম না হতে পারেন এবং একে অপরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ভাগাভাগি করতে না পারেন তা হলে মানতেই হবে যে সম্পর্কে দেওয়াল উঠে গিয়েছে। অসুখি দাম্পত্যে আটকে থাকাটা কোনও কাজের কথা নয়, বিশেষ করে যাঁদের বিয়ে বা সন্তান হয়নি, তাঁদের তো এভাবে থাকার মানেই হয় না!
. পারস্পরিক বিশ্বাস না থাকা। লুকিয়ে ফোন চেক করা, আপনি কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন এসব খোঁজ রাখাটা ঠিক স্বাভাবিক নয় – পজেসিভনেস বলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকবেন না। একটা সময়ে এই সন্দেহ করার অভ্যেসটাই বাড়তে বাড়তে চরমে পৌঁছোয়।
. অন্যের কাছে আপনার নামে নিন্দা করা। যে কোনও সম্পর্কেই ভুল বোঝাবুঝি বা ক্লান্তি আসতে পারে। কিন্তু তাই বলে অন্যের কাছে গিয়ে একে অপরের নিন্দে করাটাও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বারবার এটা হচ্ছে মানেই বড়ো কোনও সমস্যা আছে – স্বাভাবিক কাপলরা কিন্তু এই ধরনের সমস্যা কথা বলেই মিটিয়ে নেন।
. আপনার কাছের মানুষরা মোটেই আপনার প্রেমাস্পদকে পছন্দ করেন না। পরিবার, বন্ধুবান্ধব সকলেই কি বারবার বলছেন যে সম্পর্কটা থেকে আপনার বেরিয়ে আসা উচিত? তা হলে তাঁদের কথা শুনুন।
এবার প্রশ্ন, সম্পর্ক থেকে সহজে বেরিয়ে আসার রাস্তাগুলো কী?
. আপনাকে সরাসরি নিজের অসুবিধেগুলো জানাতে হবে পার্টনারকে। খুব ভালো হয় যদি দু’জনেই পারস্পরিক সম্মতিতে বিচ্ছেদে রাজি হন।
. বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন সবাইকে জানিয়ে দিন যে আপনি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছেন। অনেক সময় প্রাক্তন প্রেমিক/ প্রেমিকা ব্রেকআপের পরেও নানাভাবে হেনস্থা করতে থাকেন। সেটা এড়াতে চাইলে আপনাকে নিজের আশপাশে সুরক্ষাবলয় গড়ে তুলতে হবে। যদি দেখেন যে প্রাক্তন ফোন করে, পিছু ধাওয়া করে আপনার জীবন দুর্বিষহ করে তুলছে, তা হলে পুলিশের সাহায্য নেওয়ার আগে দ্বিতীয়বার ভাববেন না।
. একবার সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার পর নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকুন। বারবার আগুপিছু করলে আপনাকে কেউ সিরিয়াসলি নেবে না।