পরিস্থিতির চাকা যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে যেন তেন প্রকারে সংসারের খরচ কমাতেই হবে। করোনা কমে গেলেও অর্থনীতির বেহাল অবস্থা কাটাতে কতদিন লাগবে তার ঠিক নেই। যাঁদের চাকরি আছে, তাঁরাও সারাক্ষণ কাজ হারানোর টেনশনে ভুগছেন। তাই এখন থেকেই সংযত হোন। হাতে টাকার জোগান রাখুন।
প্রথমেই বাড়তি খরচ কমান
বাইরে খেতে যাওয়া, বেড়ানো একান্ত প্রয়োজন না হলে বাদ দিন। এগুলি বাহুল্য তো বটেই, তা ছাড়া কোনওটাই নিরাপদ নয়। অপ্রয়োজনীয় শপিংও করবেন না। খাওয়াদাওয়া বা জামাকাপড়ের বাহুল্য একেবারে ছেঁটে ফেলুন।
পরিবারের সবাইকে বুঝিয়ে বলুন
রাগারাগি বা দোষারোপ করে লাভ নেই, বরং ভালোবেসে বোঝান। কেন টাকা হাতে রাখা দরকার, কেন এই মুহূর্তে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানো দরকার, সে কথা সবাইকে জানিয়ে দিতে হবে। দরকার হলে কৌশলে কিছু টাকা বিনিয়োগ করে রাখুন যে কোনও নিরাপদ স্কিমে। কোনও মতেই ঝগড়াঝাঁটির পথে হাঁটবেন না, তাতে পরিবারের অন্যরা আপনাকে গোপন করে খরচ করতে শুরু করবেন।
বাজেট তৈরি করুন
মাসের খরচপত্র বেঁধে দিন। সাংসারিক নানা খরচের লিস্ট করে প্রতিটির দাম লিখে মোট খরচের হিসেব করে নিন আর সেটা মেনে চলুন। যদি বাড়ির সবাইকে বোঝাতে পারেন অকারণ খরচের ফলে আপনাদের ধারবাকি বেড়ে যাচ্ছে এবং এই পরিস্থিতিতে সেটা একেবারেই কাম্য নয়, তা হলে আপনি সফল।
লক্ষ্য স্থির করুন বুঝেশুনে
অবাস্তব, অসম্ভব টার্গেট সেট করবেন না। রাতারাতি সমস্ত বাড়তি খরচ পুরোপুরি ছেঁটে ফেলা সম্ভব নয়। ছোট লক্ষ্য স্থির করুন, সেই ছোট লক্ষ্যে প্রথমে পৌঁছোতে চেষ্টা করুন। অনেকগুলো ছোট খরচ বাঁচাতে পারলেই বড়ো সেভিংস করে ফেলতে পারবেন।
নিয়মিত সবার সঙ্গে আলোচনা করুন
টাকাপয়সা, খরচপত্র নিয়ে নিয়মিত পরিবারের সবাই একসঙ্গে বসুন। কতটা খরচ বাঁচানো গেল, আরও কতটা বাঁচানো সম্ভব, কেন সে টাকাটা বাঁচানো দরকার, এ সব নিয়ে কথা বলুন। টাকা কম থাকলেও কিন্তু বেঁচে থাকতে কোনও অসুবিধে হয় না যদি সবাই একসঙ্গে হাসিখুশি থাকা যায়। প্রতি পদক্ষেপে সবাইকে ইনভলভ করাটা খুব দরকার।
মেডিকাল ইমারজেন্সির জন্য কিছু টাকা রেখেছেন তো?
যদি আচমকা কারো কোনও অসুখ-বিসুখ করে, তা হলে চিকিৎসাবাবদ যা খরচ হতে পারে সেই টাকাটার জোগাড় থাকা উচিত সব সংসারে। মেডিকেল ইনশিওরেন্স করা আছে তো? না হলে এখনই করিয়ে নিতে হবে।