ডায়েট সম্পর্কে অজস্র মিথ বাজারে ছড়িয়ে আছে। আমরা সবাই দরকারের চেয়ে বেশি খাই, নানা প্যাকেটজাত খাবারের মাধ্যমে শরীরে বাড়তি নুন ও চিনির প্রবেশ ঘটে, ন্যুডলস, পাস্তা, পিজা আমাদের রোজের খাদ্যতালিকার অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওদিকে আলু, ভাত, আমকে আমরা ভিলেন ঠাউরেছি। ডাক্তারের বারণ থাকলে অবশ্যই এই ফল থেকে দূরে থাকুন, কিন্তু তার আগে কয়েকটা ব্যাপার জেনে নিন।
. যে কোনও মরশুমি ফল, তা সে আম হোক বা কমলালেবু – আমাদের শরীরে বিশেষ পোষণ জোগায়। আমে যে পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে, তা চোখের আর ত্বক-চুলের স্বাস্থ্যরক্ষায় একান্ত জরুরি। কাঁচা-পাকা দু’ ধরনের আমেই প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি আমাদের ইমিউনিটি বাড়ায়, ত্বক-চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, ইনফ্ল্যামেশন কমাতেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
. আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স লো, তা ছাড়া তার মধ্যে বেশ খানিকটা ফাইবার থাকে। তাই নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় খেলে না রক্তে সুগার সার্জ হওয়ার কথা, না ওজন বাড়া সম্ভব। এবার আপনি যদি সারা গ্রীষ্মকাল রোজ তিন-চারটে করে আম খেতে থাকেন, তা হলে অবশ্য বিপদ কেঊ ঠেকাতে পারবে না!
. আম খেতে হবে দিনের আলো থাকাকালীন। রাতের বেলা আমাদের হজমশক্তি এমনিতেই দুর্বল হয়ে যায়। তাই তখন খুব অল্প পরিমাণ সহজপাচ্য খাবার খাওয়া সবচেয়ে ভালো। একটা আমের ওজন যদি আন্দাজ ১৫০ গ্রাম মতো হয়, তা হলে তা থেকে আনুমানিক ১০০ ক্যালোরি পাবে আপনার শরীর। এর মধ্যে চিনি থাকবে অন্তত ২৫ গ্রাম। কোনও কারণেই রাতের বেলা শরীরে বাড়তি চিনি ঢোকা উচিত নয়।
. আমের অ্যান্টিঅক্সিডান্টের সুফলটা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করুন। যাঁদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে, তাঁরা ডাক্তার ও ডায়াটেশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে আম আর লিচু একসঙ্গে খেতে পারেন। কারণ লিচু রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়।
. আমের চাটনিতে একগাদা চিনি দিয়ে রান্না করে কিন্তু কোনও লাভ হবে না। তার চেয়ে গুড় বেটার অপশন।
. আম বাড়িতে নিয়ে এসেই খাবেন না – কাঁচা হোক বা পাকা, ফল অন্তত ঘণ্টাখানেক ভিজিয়ে রাখুন জলে। আমের ফাইটিক অ্যাসিড শরীর গরম করে তোলে – জলে ভিজিয়ে রাখলে এই প্রাকৃতিক অ্যাসিড ধার হারায়। তা না হলে কিন্তু পেট খারাপের আশঙ্কা বাড়বে।