অনলাইন ব্যাঙ্কিং আমাদের জীবনের জটিলতা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু অসাবধানে অনলাইন লেনদেন করলে প্রবঞ্চকের হাতে পড়ার আশঙ্কাও আছে, তাই কিছু নিরাপত্তাবিধহি মেনে চলা একান্ত জরুরি।
১. কখনওই পাবলিক কম্পিউটার থেকে লগইন করবেন না
যত প্রয়োজনই পড়ুক না কেন, সাইবার ক্যাফেতে ঢুকে কখনও অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে টাকাপয়সা লেনদেন করবেন না, তাতে আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। একান্তি যদি কখনও তেমনটা করতে হয়, তা হলে ক্যাশে, ব্রাউজিং হিস্টরি, টেম্পোরারি ফাইল সব ডিলিট করতে হবে।
২. পাসওয়ার্ড বদলান নিয়মিত
নিয়ম করে পাসওয়ার্ড বদলানো এবং তা একান্তবাহবেই কনফিডেনশিয়াল রাখাটা খুব জরুরি। আপনি যে ল্যাপটপ বা ফোন থেকে নিয়মিত লগইন করে কাজকর্ম করতেন, সেগুলি সারাই করার সময় বা বিক্রি করলে সব তথ্য, ব্রাউজিং হিস্টরি ডিলিট করবেন অবশ্যই। তার পরে পাসওয়ার্ড বদলে ফেলা জরুরি। যাঁরা কম্পিউটারে বা ফোনে পাসওয়ার্ড সেভ করে রাখেন বা লগ আউট করেন না, তাঁরা কিন্তু বিপদ বাড়াচ্ছেন নিজেদের।
৩. ভালো অ্যান্টি ভাইরাস ব্যবহার করা উচিত
আপনি যে কম্পিউটার বা ফোন থেকে সাধারণত ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং করেন, সেটিকে ভালো কোনও অ্যান্টি ভাইরাসের সুরক্ষায় মুড়ে রাখা দরকার। খুব সাবধানে, দেখেশুনে অনলাইন অ্যান্টি ভাইরাস ডাউনলোড করবেন। ফোন আপডেট রাখাও খুব জরুরি।
৪. যেখান সেখান থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না
গুগল প্লে স্টোর, অ্যাপল আই টিউনস, অ্যান্ড্রয়েড মার্কেটপ্লেসের মতো অফিশিয়াল অ্যাপ স্টোর ছাড়া অন্য কোথাও থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না কোন ও ডিভাইসে। বিশেষ করে যেগুলিতে পাইরেটেড সিনেমা বা সিরিজ দেখা যায়, সেগুলি সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয় একেবারেই।
৫. পাসওয়ার্ড অটো সেভ অপশন অন করে রাখবেন না
অনেকেই পাসওয়ার্ড মনে রাখার ঝক্কি নিতে চান না, সর্বত্র অটোসেভ অপশন অন করে রাখেন। এর ফলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে, হ্যাকাররা আপনার ফোন হ্যাক করতে পারলেই সোজা অ্যাকাউন্টে ঢুকে যেতে পারবে।
৬. নেটব্যাঙ্কিং করার পরে অবশ্যই লগআউট করবেন
অনেকেই কাজ হয়ে গেলে লগআউট করেন না, উইন্ডোটাও খোলা রেখে উঠে পড়েন। এই অভ্যেস থাকলে বিপদে পড়বেন। নেট ব্যাঙ্কিংয়ের কাজ হয়ে গেলে অবশ্যই লগআইউট করে তবেই ওঠা উচিত।
৭. ব্যবহার না করলে ব্রডব্যান্ড বন্ধ রাখুন
আপনার ব্রডব্যান্ড যদি সারাক্ষণ খোলা থাকে, তা হলে অনেকেই তা ব্যবহারের চেষ্টা করবে। তাই যখন ব্যবহার করছেন না, তখন ব্রডব্যান্ড বন্ধ করে রাখুন। ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের জন্য অচেনা বা ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করাটাও কাজের কথা নয়।