এমন কোনও বাঙালি নেই যে বেড়াতে ভালোবাসে না, আর বেড়াতে যাওয়া মানেই হোটেলে থাকতেই হবে। কিন্তু হোটেল কতটা নিরাপদ? বিশেষত বিদেশে বা যেখানে ভাষাগত সমস্যা আছে, সেখানে কী করলে নিরাপদ থাকা যায়?
টি ২০ ওয়ার্ল্ড কাপ খেলতে গিয়ে বিরাট কোহলির মতো আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটার এক বিচিত্র সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন – তাঁর হোটেল রুমের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায় – তিনি কোথায় জুতো রাখেন, কোথায় দামী ঘড়ি তা এখন সবার জানা। পাঁচ/ সাততারায় থাকা সেলেব্রিটিদের যদি এই অবস্থা হয়, তা হলে আমরা যারা ছোটো হোটেলের রুম সার্ভিসের হাতে চাবি দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুরতে বেরিয়ে যাই, তারা কতটা নিরাপদ?
. দেশে/বিদেশে যেখানে বেড়াতে যান না কেন, সঙ্গে দামী জিনিসপত্র বা প্রচুর ক্যাশ রাখবেন না। হোটেলের ঘরের সেফের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ঠতে পারে। তাই দামী জিনিসপত্র ক্যারি না করাই ভালো।
. রাতে শোবার সময় দরজায় ডাবল লক লাগিয়ে নিন। বিশেষ করে যেখানে স্থানীয়দের ভাষা বোঝেন না, বা একলা মেয়েরা বেড়াতে গিয়েছেন সেখানে এই ব্যাপারে গাফিলতি করবেন না। দরজায় সব সময় ভিতর থেকে ল্যাচ লাগিয়ে রাখুন।
. নিজে বাথরুমে থাকার সময়ে ঘরে কাউকে ঢুকতে দেবেন না। ঘরে খাবার বা জল অর্ডার করলেও এমনভাবে করুন যাতে বিস্ত্রস্ত অবস্থায় তা নিতে না হয়।
. যে কোনও হোটেলের ঘরে ঢুকেই একবার চারদিকটা ভালো করে দেখে নিন। আমরা সাধারণত টিভি চলছে কিনা বা বাথরুমের গিজার কাজ করছে কিনা দেখেই ছেড়ে দিই। আসলে কিন্তু পরদা টেনে বা ক্যাবিনেট খুলেও দেখে নেওয়া উচিত। হোটেলের ঘরের ফোনটা কাজ করছে কিনা, সেটাও জানা উচিত। বিশেষ করে বিদেশের হোটেলের ক্ষেত্রে অবশ্যই এই নিয়ম মানুন।
. অনেক সময় হয়তো মনে হতে পারে কেউ আপনাকে অনুসরণ করছে বা গায়ে পড়ে আলাপ করতে চাইছে (সাধারণত যাঁরা একা কোনও কাজে/ বেড়াতে যান, তাঁদের এমনটা বেশি হয়) – এই সব ক্ষেত্রে হোটেলের রিসেপশনে অবশ্যই সবটা জানিয়ে রাখুন। দরকারে স্টাফদের বলে দিন যে আপনি কোনও ভিজিটরের সঙ্গে ঘরে দেখা করতে চান না। সাধারণত হোটেলের কর্মীরা এই ধরনের অনুরোধ রক্ষা করেন।
. নিজের সমস্ত জরুরি কাগজপত্র, পাসপোর্ট, টিকিট ইত্যাদি সব সময়ে সঙ্গে রাখুন। কোনও অচেনা জায়গায় তা রেখে ঘুরতে বেরিয়ে যাবেন না।