একথা ঠিক যে আজকালকার বাজারে কাউকে বিশ্বাস করা খুব কঠিন কাজ। সম্পর্কও ভেঙে যায় নানা ঠুনকো কারণে – বেশিরভাগ সময়েই কাউকে পছন্দ হলেও পুরোপুরি বিশ্বাস করা যায় না।
. যদি আপনি পরিচিত কোনও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন, তা হলে একরকম। অনেক সময়েই সোশাল মিডিয়া, অফিস বা ডেটিং সাইটে কারও সঙ্গে আলাপের পরেও মন-দেওয়া নেওয়া হতে পারে। অনেকেই বলবেন, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম দেখেও একজন মানুষের চরিত্র সম্পর্কে ধারণা তৈরি করে নেওয়া খুব সহজ। ব্যাপারটা আংশিক সত্যি। এমন অনেকেই থাকেন, যাঁদের একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকে – তার একটা দেখে আপনি কিস্যু বুঝতে পারবেন না।
যে কোনও সম্পর্কের প্রাথমিক ভিত্তি হচ্ছে স্বচ্ছতা
সুস্থ, স্বাভাবিক বন্ধুত্বের সম্পর্কে যে উষ্ণতা থাকে, তার জুড়ি মেলা ভার। সে আপনি সম্পর্কে থাকলেই বুঝতে পারবেন। যে কোনও বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারবেন মন খুলে – আপনার কোনও প্রশ্নেই মনের মানুষ বিব্রত হবেন না।
আপনার বন্ধুবান্ধব, পরিবার সকলের সঙ্গেই তাঁর সখ্যতা গড়ে উঠবে
যাঁর মন পরিষ্কার এবং সম্পর্কটা প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিতে কোনও সমস্যা নেই, তিনি চটপট আপনার বন্ধুদের সঙ্গে ভাব পাতাবেন, তাঁর বন্ধুদের আপনি চিনবেন। দুই পরিবারেও খোলাখুলি মেলামেশি আর যাতায়াত থাকবে। এই জায়গাটায় কোনও ঢাকঢাক, গুড়গুড় দেখলেই কিন্তু সাবধান। যাঁর অনেক কিছু লুকিয়ে রাখার আছে, তিনিই একমাত্র নিজের বন্ধু বা আত্মীয়দের থেকে আপনাকে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন।
তিনিও তাঁর মনের কথা আপনাকে খুলে বলতে দ্বিধা করবেন না
সুস্থ সম্পর্কে থাকলে একে অন্যের পছন্দ-অপছন্দগুলো জানার কথা। অনেক সময়েই এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে, যেখানে তাঁর ভালো লাগার সঙ্গে আপনারটা মিলবে না একেবারেই। তখন কী করবেন? এই জায়গাটা থেকেই আসে মানিয়ে নেওয়ার প্রশ্ন। আপনার মনের মানুষ যদি বিশ্বাসযোগ্য হন, তা হলে তিনি কখনওই চাইবেন না আপনি নিজের পছন্দ-অপছন্দ সব শিকেয় তুলে রেখে তাঁর মত অনুযায়ী চলুন। একই কথা আপনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যদি তা না হয়, তা হলে কিন্তু সমস্যা বাড়বে।
তিনি কি প্রাক্তন প্রেমের কথা আপনাকে বলেন?
প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার সম্বন্ধে যাঁরা কুৎসা করেন বা সারাক্ষণ তাঁদের দোষত্রুটির কথা ফলাও করে বলে বেড়ান, তাঁদের খুব একটা বিশ্বাস করবেন না। কোনও সম্পর্ক কখনও একজনের দোষে ভাঙে না, দু’জনের দায় থাকে। আপনার মনের মানুষটি সেটা স্বীকার না করলে সমস্যা আছে – পরে আপনার দোষ-ত্রুটির কথাও এভাবেই বলে বেড়াবেন তিনি।
আপনারা কি একে অপরের থেকে নিজেদের ফোন লুকিয়ে রাখেন?
যে যার ফোন নিজের কাছে রাখবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি যদি আপনার বিশেষ বন্ধুর ফোন কোনও কাজের জন্যেও হাতে নেন, তা হলে কি তিনি অসুবিধে বোধ করেন? ফোন কি সারাক্ষণ সঙ্গে রাখেন এবং বারবার পাসওয়ার্ড বদলান? তা হলে সাবধান। বিশেষ কিছু লুকিয়ে রাখা আর প্রিভেসির মধ্যে ফারাক আছে কিন্তু!