হঠাৎ করেই টাকার দরকার পড়েছে এবং কোনও বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে পারসোনাল লোন নিয়েছেন? তার পর বছরের পর বছর সেই লোন সুদে আসলে বেড়েছে আর আপনি কি আফসোস করেছেন?
পারসোনাল লোনের ব্যবসাটা চলেই চড়া সুদের ভিত্তিতে। লোন পাওয়া সহজ – ব্যাঙ্ক তেমন কোনও প্রমাণ ছাড়াই আপনার হাতে টাকা তুলে দেয়, তাই তার বিনিময়ে মোটা ইন্টারেস্টও নেয়। সময়মতো কিস্তি শোধ করতে না পারলে টাকাটা সুদে-আসলে বাড়ে। ব্যাঙ্কও চায় না গ্রাহক তাড়াতাড়ি টাকা শোধ করে দিক, তাতে তো তাদের ব্যবসায়িক ক্ষতি!
এই পরিস্থিতি কিন্তু চাইলে এড়ানো যায়। টাকা ধার নেওয়ার এমন অনেক রাস্তা আছে যেখানে আপনাকে ব্যক্তিগত ঋণের চাইতে কম সুদ দিতে হবে। তবে প্রতিটির ক্ষেত্রেই একটু সময় লাগবে। দু, নম্বর জরুরি বিষয়টা হচ্ছে, কখনওই কোনও গ্যাজেট কেনার জন্য বা শখ মেটানোর জন্য পারসোনাল লোন নেবেন না – এই অভ্যেসটা একবার তৈরি হয়ে গেলে ছেড়ে বেরনো যায় না।
পিপিএফ
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফে আপনি যে টাকা জমাচ্ছেন, তার বিনিময়ে লোন পাওয়া সম্ভব। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, অ্যাকাউন্ট খোলার পরের বছর থেকে টাকা ধার পাওয়া সম্ভব। পিপিএফের ম্যানুয়াল পড়লে আপনি আরও সহজে ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন।
ইপিএফ
এমপ্লইয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফ-এ যে টাকা জমা পড়ে, তার ৯০% পর্যন্ত লোন হিসেবে নেওয়া যায়। তবে প্রাথমিক দু’টি শর্ত হচ্ছে, আপনার অ্যাকাউন্ট অন্তত তিন বছরের পুরোনো হতে হবে। এবং ধার নেওয়া টাকা ২৪ মাস বা দু’ বছরের মধ্যে ফেরত দিতে হবে।
সোনা
পারসোনাল লোনের ভালো বিকল্প হতে পারে সোনার বিনিময়ে টাকা ধার নেওয়া। ক্রেডিট স্কোর খারাপ হলেও সোনার বিনিময়ে লোন পেতে অসুবিধে হয় না। সাধারণত জমা রাখা সোনার দামের ৭৫% পর্যন্ত লোন মিলতে পারে। কম সময়ের মধ্যেই টাকা হাতে চলে আসবে।
ফিক্সড ডিপোজিট
যে ব্যাঙ্কে আপনার ফিক্সড ডিপোজিট আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে দেখুন একবার। যে দিন আপনি অ্যাপ্লাই করছেন, সেদিন ফিক্সড ডিপোজিট ম্যাচুরিটি হলে যে রাশি পেতেন, তার ৮০-৯০% পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যায়।
ইনশিওরেন্স ও মিউচুয়াল ফান্ড
লাইফ ইনশিওরেন্স ও মিউচুয়াল ফান্ড থেকেও বিপদের সময়ে লোন নেওয়া যায়। তার টার্মস-কন্ডিশন কী হবে, সে সম্পর্কে আপনার এজেন্ট ভালো বলতে পারবেন।