তার মানে হচ্ছে আপনি ফোনের ক্যামেরা এখনও ঠিকমতো ব্যবহার করতে শেখেননি। তবে চিন্তা নেই, কয়েকটা সহজ নিয়ম মানুন, তাতেই সেলফি চমৎকার উঠবে। হাতে কোনও কাজ না থাকলে মাঝে মাঝে কয়েকটা ছবি তুলবেন – তাতে নিজের মুখের কোন অ্যাঙ্গেলের ছবি সবচেয়ে ভালো ওঠে, তা বুঝতে সুবিধে হবে।
. মুখের সামনে ফোন ধরে খচাক করে ছবি তুললেই ভালো সেলফি ওঠে না কিন্তু! ফোনটাকে নানা অ্যাঙ্গেলে রাখুন, মাথাটাও বিভিন্ন দিকে হেলিয়ে ছবি তুলে দেখুন। সরাসরি ক্যামেরার দিকে তাকানোর চাইতে একটু অ্যাঙ্গেল করে তাকালে দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। কয়েকবার প্র্যাকটিস করলেই ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন।
. মনে রাখবেন চড়া আলো আর অন্ধকার ছায়া দুটোই ভালো সেলফি তোলার পথে অন্তরায়। খুব ফ্যাটফ্যাটে সাদা আলো যেন মাথার পিছনে বা উপরে না থাকে, সূর্যের আলোও মুখে পড়লে বা মাথার পিছনে থাকলে সেলফি ভালো উঠবে না। একই সমস্যা হবে ছায়া থাকলেও। ভোরবেলা বা বিকেলের দিকে মরা আলোয় খোলা জায়গায় ভালো সেলফি ওঠে। গাছের ছায়ার নিচেও দাঁড়িয়ে দেখতে পারেন – তাতেও ভালো ছবি ওঠে।
. ভালো ব্যাকগ্রাউন্ডের কোনও বিকল্প নেই, তা যে কোনও সেলফিকে অন্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে যেতে পারে। বেশি কিছু লাগে না কিন্তু – একটা রঙিন দেওয়াল, কয়েকটা ফুলের গাছ, একটা আয়না, সুইমিং পুল – নানা ব্যাকগ্রাউন্ড ট্রাই করে দেখুন, ভালো সেলফি উঠবেই একটা সময়ে।
. ক্যামেরার দিকে তাকান – অনেকে ক্যামেরার দিকে তাকান না বলে ছবি মোটেই ভালো ওঠে না। যে সব ফোনে একাধিক ক্যামেরা থাকে, সেগুলির ক্ষেত্রে সমস্যা বেশি হয়। দু’-একবার ট্রাই করলেই অবশ্য বুঝে যাবেন ঠিক কোনদিকে তাকাতে হবে।
. কখন ফ্ল্যাশ ব্যবহার করবেন? খুব অন্ধকার কোনও জায়গায় বা ছায়ার মধ্যে থাকলেই একমাত্র ফ্ল্যাশ ব্যবহার করুন। অন্যথায় বাড়তি আলোয় ছবি জ্বলে যাবে।
. পোর্ট্রেট মোডে ফোটো তুলুন – এই মোডের কাজই হচ্ছে যিনি ছবি তুলছেন, তাঁর উপর ফোকাস ধরে রাখা, বাকি সব কিছুই ফোকাসের বাইরে চলে যাবে।
. ক্যামেরা সব সময় খানিকটা উপরের দিকে রাখবেন – তাতে ছবি ভালো আসে। তবে রাতারাতি কোনও টেকনিকই পারফেক্ট হবে না, প্র্যাকটিস চালিয়ে যান।