এই একটা সমস্যার সঙ্গে আজকের যুগে দাঁড়িয়ে আমরা অনেকেই লড়াই করছি – যা বলতে চাই, লোক তা বুঝতে পারছে না। ফলে দূরত্ব বাড়ছে কাছের মানুষের সঙ্গে, নিজের খোলসের মধ্যে গুটিয়ে থাকতে থাকতে আরও একা হয়ে যাচ্ছি আমরা। সমাজ থেকে সহমর্মিতা, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো বেসিক ব্যাপারস্যাপার উঠেই যাচ্ছে প্রায়!
. আপনাকে একেবারে প্রথমেই নিজের সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। দেখুন, সারা দুনিয়ার যত মানুষের সঙ্গে আপনার ভাবের আদানপ্রদান হবে, সবাইকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। তার চাইতে নিজেকে খানিক বদলে নেওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ। অন্যেরা যেমন আপনাকে বুঝতে পারছে না, তেমনই আপনিও নিজের কথা তাদের বোঝাতে পারছেন না। দুটোই সমান অসুবিধেজনক।
. আপনার কি লোকজনের সঙ্গে মিশতে ভালো লাগে না? তা হলে গোড়াতেই মেনে নিন যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে এই নিয়মের বাইরে বেরোতে হবে। জেনে-বুঝে নিজের অনিচ্ছে সত্ত্বেও আশপাশের মানুষজন বা কলিগদের সঙ্গে সাধারণ কথাবার্তা বলুন।
. একেবারে অচেনা মানুষের সঙ্গে আলাপ করার কায়দা শেখার সবচাইতে সহজ রাস্তা কী বলুন তো? পরের বার যে ট্যাক্সিতে উঠবেন, তার ড্রাইভারের সঙ্গে কথা বলা। প্র্যাকটিস করলেই নিজের স্কিল উন্নত করে তুলতে পারবেন।
. ভদ্র ব্যবহার, নরম গলায় কথা বলার কোনও বিকল্প হয় না। যখনই নতুন কারও সঙ্গে আলাপ হবে, তখন হাসিমুখে, নরম গলায় কথা বলুন। ম্যাজিকের মতো কাজ হবে।
. অনেকেই আছেন যাঁরা গুছিয়ে কথা বলতে পারেন না। তাঁদের মনের কথা বুঝতে কাছের মানুষদের আরওই অসুবিধে হয়, অন্য পরিচিতরা এঁদের চিনেই উঠতে পারেন না সারা জীবন। আপনি এই দলের হলে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলা প্র্যাকটিস করুন।
. বুঝতে পারছেন না তা কীভাবে সম্ভব? হয়তো অফিসে কোনও প্রেজেন্টেশন দিতে হবে – কী কী বলবেন আগে ভেবে নিন। তার পর নিজের মনে মনে বার বার আওড়াতে থাকুন কথাগুলো – আসল কাজের সময়ে তা স্রোতের মতো বেরিয়ে আসবে। প্রেমিক/ প্রেমিকার সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা করবেন ভেবে রাখুন। বাড়ির সকলের সঙ্গে রোজ খানিকটা সময় কাটান।
. মাথা থেকে নেগেটিভ চিন্তাভাবনা সরান। আপনাকে কেউ বোঝে না ভেবে ভিতরে ভিতরে গুমরে কোনও লাভ নেই। নিজের জীবনটাকে গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান – সমস্যা ধীরে ধীরে সহনীয় হয়ে আসবে।