এমন মানুষ দুর্লভ যিনি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন না। তবে যদি বলা হয়, এমন একজনকে খুঁজে বের করুন যাঁর ফোনে অনেক স্পেস খালি আছে, ব্যাপারটা আরও কঠিন হবে নিঃসন্দেহে। ফোন ছাড়া আমাদের চলে না, আর হাজারো অ্যাপ, ছবি, ভিডিয়োর দৌলতে সে ফোন ক্রমেই ভরে ওঠে, স্লো হয়ে যায়, হ্যাং করতে আরম্ভ করে। এই পরিস্থিতি এড়াতে চাইলে আপনাকে শিখতে হবে মোবাইল ফোনের স্টোরেজ অপটিমাইজ করার কৌশল।
১. ফোন কেনার সময়ে দেখে কিনুন
আপনি হয়তো ভাবছেন, অনলাইনে কিনলে ফোনের দাম অনেকটাই কম পড়ছে, খামোকা শোরুম থেকে কেনার কী দরকার? কিন্তু একটু খতিয়ে দেখে নিন। অনলাইনে কিনতে গেলে দাম কম পড়ে ঠিকি, কিন্তু অনেক সময়েই ফোনের বাজেট মডেল কম দামে চালিয়েও দেওয়া হয়। সাধারণত আজকাল সব স্মার্ট ফোনেই ৬৪জিবি স্টোরেজ থাকে, সস্তায় মেলে ৩২ বা ১৬ জিবি মডেল। তাই কম দামে হাই-এন্ড ফোন পেলেই আনন্দে লাফিয়ে উঠবেন না, খতিয়ে দেখুন কী কিনছেন।
২. অ্যাপ ডাউনলোড করার সময়ে বুঝে-শুনে করুন
এমন অ্যাপ ডাউনলোড করুন যা আপনি নিয়মিত ব্যবহার করবেন। না ভেবে-চিন্তে ডাউনলোড করতে আরম্ভ করলে কিন্তু ১২৮জিবিও কম পড়বে। যদি আপনি গোড়া থেকেই সচেতন থাকেন, তা হলে কখনওই স্টোরেজ সংক্রান্ত সমস্যায় পড়বেন না।
৩. ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজে ফোটো ও ভিডিও রাখবেন না
মাঝে মাঝেই ক্যাশেতে থাকা ডেটা আর ভিডিও ও ছবির জায়গা খালি করতে হবে। বিশেষ করে হোয়াটসঅ্যাপে প্রচুর ভিডিও ও ছবির আদানপ্রদান হয়, অপ্রয়োজনীয়গুলি বেছে নিয়ে ফেলে দিন। মাইক্রো এসডি কার্ড ঢোকানোর জায়গা থাকলে সেখানে ছবি, ভিডিও রাখতে পারেন। তা না হলে গুগল ফোটোতে সেগুলি স্টোর করুন। যে কোনও ডিভাইস থেকে গুগল অ্যাকসেস করলেই ছবি ব্যবহার করতে পারবেন।
৪. গুগল ড্রাইভের ব্যবহার বাড়ান
আপনার জরুরি ছবি বা নথিপত্র গুগল ড্রাইভে সরিয়ে রাখুন, যখনই দরকার পড়বে, সেখান থেকেই অ্যাকসেস করতে পারবেন!
৫. ডাউনলোড ফোল্ডার খালি রাখুন
আমরা অজস্র তথ্য ডাউনলোড করি বটে, কিন্তু তা ব্যবহারের পর ডিলিট করতে ভুলে যাই। এর ফলে ফোনের জায়গা ক্রমশ কমতে থাকে। নিয়ম করে ডাউনলোড ফোল্ডার চেক করুন – যা যা অপ্রয়োজনীয়, সব ফেলে দিন।