ফিট হয়ে ওঠার চেষ্টায় আছেন? অসাধারণ প্রচেষ্টা – আপনাকে অনেক অভিনন্দন। ফিট হতে গেলে আপনাকে মূলত দুটো কাজ করতে হবে – সঠিক খাবার খেতে হবে, আর অ্যাক্টিভিটি বাড়াতে হবে।আপ্নার শরীরে বাড়তি মেদের আসতরণ থাকার অর্থ হচ্ছে, রোজ যত ক্যালোরি শরীরে ঢুকছে, তার পুরোটা খরচ হচ্ছে না। তাই ক্যালোরির ঢোকা আটকান আর কাজের মাধ্যমে তার বেশিরভাগটা ঝরিয়ে ফেলুন।
. জিমে বা যোগ ক্লাসে যেতেই হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। আপনি স্রেফ টানা বসে থাকবেন না। হাঁটা চলা করুন। সারা দিন অল্প অল্প করে সময় বরাদ্দ রাখুন। হয়তো সকালে উঠে মিনিট ১৫-২০ জোরে জোরে হাঁটলেন, লাঞ্চের পর যখন একটু চোখ টেনে আসে তখন পায়চারি করুন। সেও ওই মিনিট ১৫-২০। বিকেল বা সন্ধের দিকে আবার একবার খানিক জোরে হাঁটা। রাতে খেয়ে উঠে আবার হালকা পায়ে খানিক গায়ে হাওয়া লাগানো। এইভাবে শুরু করলে মাসখানেকের মধ্যে ফল দেখতে পাবেন।
. ডায়েটিং শুরুর আগে সম্ভব হলে পেশাদার কোনও পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে নিন একবার। তিনি আপনার দৈনিক রুটিন জেনে নিয়ে একটা প্ল্যান বাতলে দিতে পারবেন। তাতে কাজ হবে তাড়াতাড়ি। কিছুদিনের মধ্যেই ফারাকটা টের পাবেন।
. কখনও অন্য কারও ডায়েট প্ল্যান, বিশেষ করে সেলেব্রিটিদের ডায়েট প্ল্যান ফলো করার ভুলটা করবেন না। তাঁরা যা করেন, তার পুরোটা কখনওই আপনি জানতে পারবেন না। তার চেয়েও বড়ো কথা, ওঁদের নিজস্ব টিম থাকে যারা সারাক্ষণ খাওয়া-ব্যায়াম ইত্যাদির তদারকি করে। সে সব মেনে চলা সাধারণ মানুষের কম্মো নয় একেবারেই।
. আগে যতটা খেতেন, তার চাইতে খাবারের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমাতে আরম্ভ করুন। কিন্তু কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, রাফেজ, ভিটামিন, মিনারেল সব কিছুই রাখুন খাদ্যতালিকায়। ভাত-রুটি একেবারে বাদ দিয়ে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ালে ওজন হয়তো কমবে, কিন্তু বাড়বে কনস্টিপেশন বা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। তাই সব কিছুই খান, তবে পরিমাণ কমান। সবজি সেদ্ধ আর ফল খান বেশি করে।
. মিষ্টির উপর নিয়ন্ত্রণ লাগু করতে হবে। ঘরে তৈরি হালুয়া, কেক তাও চলতে পারে অল্প পরিমাণে। কিন্তু বাইরে থেকে কেনা ক্রিম কেক, মিষ্টি দই ইত্যাদি খাবেন না, তাতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি।
. ভালো মানের ফ্যাট খাওয়ার চেষ্টা করুন। মাখন, মাখন থেকে তৈরি করা ঘি, খাঁটি তেল স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। তবে খুব বেশি তেল-মশলা খাবেন না।
. ফ্যাট ফ্রি দুধ, চিনি ছাড়া মিষ্টি, কুসুম ছাড়া ডিম খাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। স্বাভাবিক খাবার খান। অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে তবেই সমস্যা হবে।