এ কথার সরল কোনও উত্তর হয় না। অনেকেই আছেন যাঁরা সম্পর্কের ফুরিয়ে যাওয়াটা কিছুতেই মানতে পারেন না, নিজেকে বঞ্চিত ভাবতে ভাবতে মনের আগুনে জ্বলে-পুড়ে মরেন। আপনি যদি তেমন মানসিকতার হন, বা প্রাক্তনের প্রতি রাগ থাকে, তা হলে তাঁর থেকে শতহস্ত দূরে থাকুন।
কিন্তু যদি মনে হয় যে আপনার জীবন নিয়ে আপনি খুশি, প্রাক্তন সামনে এসে দাঁড়ালেও বুকে এক্সট্রা মোচড় অনুভব করবেন না, তা হলে তাঁর বন্ধু হতে কোনও অসুবিধে নেই। যাই করুন না কেন, নিজের কাছে পরিষ্কার থাকাটা একান্ত দরকারি। আর আপনার জীবনে যদি কোনও নতুন মানুষ এসে থাকেন, তা হলে তাঁকেও জানাতে হবে যে এক্সের সঙ্গে আপনার সহজ বন্ধুত্ব আছে – না হলে জটিলতা বাড়বে।
. আগে নিশ্চিত হোন যে আপনাদের মনের টান আর নেই
ফের তাঁর প্রেমে পড়বেন না তো? সেই মানুষটি নিজের জীবনে হয়তো খুব খুশি, তাঁর নতুন সঙ্গীও আছে। এই অবস্থায় ফের জটিলতা তৈরি হলে মুশকিল হবে। তাই যদি মনে হয় যে স্রেফ বন্ধুত্ব থাকতে পারে, তা হলেই এগোন। আবার ফ্লার্টিং বা শারীরিকভাবে কাছাকাছি আসা শুরু করবেন না যেন!
. মানসিক নির্ভরতা তৈরি হতে দেবেন না
হ্যাঁ, প্রত্যেক মানুষেরই মানসিকভাবে ভরসা করার মতো কাউকে লাগে। কিন্তু সেটা প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড/ গার্লফ্রেন্ড নয়। তা হলে কিন্তু আবার প্রেম বাড়বে। ভালো সম্পর্ক রাখুন, আড্ডা দিন। কিন্তু নিজের নিজের ব্যক্তিগত জীবন আলাদা রাখুন। আপনারা এখন আর একসঙ্গে নেই, সেটা খেয়াল রাখবেন। দরকার হলেই একে-অন্যের সাহচর্যও পাবেন না।
. একে অপরের ব্যক্তিস্বাধীনতাকে সম্মান করুন
নিজের জীবনের না পাওয়া বা আক্ষেপ নিয়ে প্রাক্তনের কাছে যাবেন না কখনও। তাতে জটিলতা বাড়ে। তাঁর জীবনে হয়তো এখন নতুন কেউ আছেন, সেই জায়গাটাকে সম্মান করতে হবে আপনাকেও। যাঁদের ডিভোর্স হয়েছে ও সন্তান আছে, তাঁদের দায়িত্ব আরও বেশি। বিয়ে টেকেনি বলে বাচ্চাকে একজন অভিভাবকের কাছ থেকে দূরে রাখবেন না। সন্তানের সঙ্গে তার মা/ বাবার সম্পর্কটা সুন্দর রাখুন।
. পুরোনো কথা ভেবে কষ্ট পাবেন না
সময় সব ভুলিয়ে দেয়। প্রাক্তনের প্রতি রাগ, অভিমান যতদিন থাকবে, ততদিন সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না কিছুতেই। সে চেষ্টাও করতে যাবেন না। যখন দেখবেন যে ভিতরে আর কোনও তিক্ততা নেই, তখন নতুন করে বন্ধু হতেও কোনও অসুবিধে হবে না।